Quantcast
Channel: Eisamay
Viewing all 1188 articles
Browse latest View live

মনোসংযোগের সহজ উপায়

$
0
0

কোনও কাজ করার সময় সবসময় অন্যমনস্ক? এক জায়গায় মন দিয়ে কাজ করতেই পারছেন না? সমস্যা কিন্ত্ত মোটেই ছোট নয়৷ তাই এড়িয়ে গিয়ে লাভ নেই৷ বরং সমস্যার সঙ্গে মোকাবিলা করুন৷ কীভাবে কাজে মনোযোগ আনবেন বাতলে দিচ্ছে 'অন্য সময়'৷

ফোন সাইলেন্ট রাখুন

কোনও কাজ করতে বসলেন কিন্ত্ত তার মাঝে বার বার ফোন ভাইব্রেট হওয়া মানে বার বার কনসেনট্রেশন ব্রেক৷ চেস্টা করুন ফোন সাইলেন্ট মোডে রাখতে৷ তবে জরুরি ফোনের জন্য অ্যালারট মোড অন করে রাখুন৷ কাজের ফোনও আসতে পারে৷

নো কানেকটিভিটি

ফোন বন্ধ করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়৷ অন্তত নিজের ফোনের ইন্টারনেট অ্যাকসেস বন্ধ রাখুন৷ সারাদিন ওয়াটস অ্যাপের চিটচ্যাট কিংবা ফেসবুকের পপ আপের খোঁচায় দুর্বাসা মুনিরও হয়ত ধ্যান ভঙ্গ হয়ে যেত৷ আপনি তো নিমিত্ত মাত্র৷

কাজ জমাবেন না

কাজ না জমিয়ে সবসময় আগে থেকে করে রাখার চেষ্টা করুন৷ আপনার ডেডলাইনের একঘণ্টা আগে কাজ করতে বসলে মনোযোগ আসা তো দূরের কথা, এতটাই তাড়াহুড়ো হবে যে ছড়িয়ে ফেলবেন সবটা৷ তাই আগে থেকে কাজ করে রাখার চেষ্টা করুন৷

জায়গা নির্দিষ্ট করুন

কাজ করার জন্য সবসময় উপযুক্ত পরিবেশ দরকার৷ তাই কোথায় কাজ করবেন সেটা আগে নির্দিষ্ট করুন৷ রোজ রোজ নিজের অবস্থান বদলালে কনসেনট্রেশনে অসুবিধা হয়৷ যেখানে বসে কাজ করতে ভালো লাগবে সেখানেই রোজ বসুন৷ এতে কাজে উদ্যম আসবে৷

শান্ত বাতাবরণ জরুরি

খুব আওয়াজে তো কনসেনট্রেশন আসতে পারে না৷ ফলে কাজ করার জন্য শান্ত কোনও জায়গা বাছুন৷ সবচেয়ে ভালো হয় নিজের জন্য প্রাইভেট কেবিন থাকলে৷ কিন্ত্ত বেশিরভাগ অফিসেই এখন কিউবিকল সিস্টেম৷ সেক্ষেত্রে আপনার কোনও সমস্যা হলে বসকে জানান৷ যদি কিউবিকল শেয়ারও করতে হয় তাহলে যার কম্পিউটর ওয়ার্ক বেশি তাকে যেন আপনার পার্টনার করা হয় সে বিষয়ে আর্জি জানান৷ সবচেয়ে ভালো হয় কম কথা বলা কোনও পার্টনার পেলে৷

লক্ষ্য স্থির করুন

নিজের মধ্যে ডিটারমিনেশন আনা খুব জরুরি৷ তাই আগে লক্ষ্য স্থির করুন৷ নির্দিষ্ট সময়ে কাজটা শেষ করতে হবে এই বিষয়ে নিজের মধ্যে জেদ না আনলে চলবে না৷ সুতরাং আগে একটা টাইম সেট করে নিন৷

কাজের জায়গা পরিস্কার রাখুন

অ-পরিস্কার জায়গায় আর যাই হোক মনোযোগ আসতে পারে না৷ নিজের কাজের জায়গা যতটা সম্ভব পরিস্কার রাখার চেষ্টা করুন৷ নিট অ্যান্ড ক্লিন জায়গায় তরতরিয়ে কাজ এগোবে৷

মাঝে মাঝে ব্রেক নিন

পর পর কাজ করে গেলে ব্যাপারটা একঘেয়ে হয়ে যাবে৷ তাই ছোট ছোট ব্রেক নিন৷ ধরুন একটা কাজ করে একটু কফি খেয়ে এলেন৷ কিংবা অফিসটা একপাক ঘুরে এলেন৷ অথবা নিজের হেডফোন বের করে একটু গান শুনে নিলেন৷ এতে একঘেয়েমি কাটবে এবং মনোযোগ বাড়বে৷

রুটিন বানান

রুটিন মাফিক কাজ করলে একটা অভ্যাস তৈরি হবে ফলে মানসিক স্থিতি আসবে৷ এক্ষেত্রে মনোযোগ বাড়বে৷

যোগব্যায়াম

কনসেনট্রেশন ফেরানোর জন্য কোনও যোগা ক্লাসে জয়েন করুন৷ বাড়িতে মেডিটেশনও করতে পারেন৷


জুতো থাকবে নতুনের মতো

$
0
0

জুতো যে কোনও ব্র্যান্ড কিংবা উপাদানেরই হোক না কেন তাতে দাগ-ছোপ তো হবেই৷ ফলে কিছুদিনের মধ্যেই জুতোটি নিজের জৌলুস হারিয়ে বাতিলের তালিকায়৷ কিন্ত্ত আর নয়৷ জুতো নতুনের মতো রাখার টিপস দিচ্ছে 'অন্য সময়' -

টিপস ১- ভেসলিন ব্যবহার করুন

যে কোনও কালো রঙের জুতোর দাগ-ছোপ অপসারণ করার সেরা উপায় ভেসলিনের ব্যবহার৷ যেখানে দাগ হয়েছে সেখানে অল্প পরিমানে ভেসলিন লাগিয়ে ঘষে নিন৷ যতক্ষন না দাগ-ছোপ দূর হচ্ছে ততক্ষণ ঘষুন৷ দেখবেন কিছুক্ষনেই দাগ গায়েব৷ অনেকটা ম্যাজিকের মতো৷ ফলে জুতো থাকবে নতুনের মতো৷

টিপস ২- চামড়ার জুতোয় হেয়ার কন্ডিশনার

প্রিয় লেদারের জুতোকে খুব খারাপ দেখাচ্ছে? এর জন্য দামী জুতো পলিশ কেনার কোনও দরকার নেই৷ বরং নিজের হেয়ার কন্ডিশনারকে একটু অন্যভাবে ব্যবহার করুন৷ নরম কোনও কাপড়ে অল্প পরিমান হেয়ার কন্ডিশনার নিয়ে হালকা করে ঘষে নিন৷ এটি যেহেতু চামড়ার জুতো ফলে স্বাভাবিকভাবেই হাইড্রেশনের দরকার পড়ে৷ তাই হেয়ার কন্ডিশনার এক্ষেত্রে সেরা অপশন৷

টিপস ৩- স্নিকার থেকে দাগ ইরেস করুন

পেনের কালি তোলার জন্য ম্যাজিক ইরেসার কিনতে পাওয়া যায় এটা আপনি জানেন৷ তবে এই রাবারের আরেকটা ভূমিকা রয়েছে৷ আপনার প্রিয় স্নিকার থেকে দাগ-ছোপ তোলার ক্ষেত্রেও এই ইরেসারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷ স্নিকারে কোনও দাগ হলে ইরেসার দিয়ে দাগ তুলে ফেলুন, ঠিক যেভাবে খাতা থেকে পেনের কালি তোলেন৷ এই টোটকায় জুতো থাকবে নতুনের মতো৷

টিপস ৪- সুয়েড জুতোর ক্ষেত্রেও রাবার

সুয়েড জুতোর থেকে দাগ-ছোপ তোলার জন্য পেনসিল রাবার ব্যবহার করুন৷ তবে এক্ষেত্রে সাদা রাবার ব্যবহার করাই শ্রেয়৷ কোনও দাগ বা ধুলোবালির ওপর রাবার ঘষে নিন৷ সহজেই দাগ-ছোপ দূর হয়ে যাবে এবং প্রিয় জুতোটি বাতিলের খাতায় স্থান পাবে না৷

টিপস ৫- রাবার বুটের জন্য অলিভ অয়েল

রাবারের বুটের ওপর ধুলো জমে সাদা দাগ হয়ে যায়, যা দেখতে অত্যন্ত খারাপ লাগে ফলে এই জুতোও বাতিল হয়ে যায়৷ সেক্ষেত্রে এই বাতিলিকরন আর নয়৷ বরং তার পরিবর্তে অল্প অলিভ অয়েল নিয়ে জুতোয় ঘষুন৷ এই টোটকায় জুতোটি হারানো জৌলুস ফিরে পাবে খুব সহজেই৷

টিপস ৬- মাঝেমধ্যেই পালিশ করুন

জুতো নোংরা হওয়ার অপেক্ষা করবেন না৷ বরং মাঝেমধ্যেই জুতো পালিশ করে নিন৷ সঠিক পরিচর্যা করলে জিনিস অনেকদিন টেকসই হয়৷ তাই নিজের প্রিয় জুতোকে মাঝেসাঝেই আলমারি থেকে বের করে তার যত্ন করুন৷

টিপস ৭- বাড়ি ফিরে ব্রাশ করুন

সারাদিন আপনার থেকে বেশি ধুলোবালির সঙ্গে লড়াই করে আপনার জুতো৷ তাই বাড়ি ফিরে যতই ক্লান্ত লাগুক না কেন জুতোটি ব্রাশ করে নিতে ভুলবেন না৷ ব্যবহার করার পর ব্রাশ করে ধুলোবালি ঝেড়ে তারপর সেটি আলমারিতে তুলে রাখুন৷

টিপস ৮- বাইরে ফেলে রাখবেন না

ঘরের মধ্যেও যথেষ্ট ধুলো রয়েছে৷ ফলে ঘরের মধ্যেও জুতো এমনি ফেলে রাখবেন না৷ তার চেয়ে বরং জুতোকে কাগজে মুড়িয়ে আলমারিতে তুলে রাখুন৷ এতে জুতোর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে৷

গাড়ির জন্য সেফটি টিপস

$
0
0

গাড়ি চালিয়ে অফিসে যান, মাঝেমধ্যে সঙ্গীর সঙ্গে ছোটখাটো রাইডে বেড়িয়ে পড়েন, কখনও আবার লং ড্রাইভ৷ খুব ভালো৷ কিন্ত্ত গাড়ির ঠিকমতো যত্ন নিচ্ছেন তো? সঠিক যত্ন না নিলে কিন্ত্ত যে কোনও মুহূর্তে যে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে৷ তাহলে উপায়? সেফটি টিপস দিচ্ছে 'অন্য সময়' -

তেল বদলান

নিয়মিত গাড়ির তেল বদলান৷ একদিন তেল ভরলেন এবং গাড়ি গ্যারেজে রেখে দিলেন এমনটা না করাই ভালো৷ তাই নিয়মিত গাড়ি চালান এবং ১০০০০মাইল মত গাড়ি চালানো হলে আবার তেল বদলান৷ অবশ্য এটি আপনার গাড়ি চালানোর গতি, আবহাওয়া এবং কি ধরনের তেল ব্যবহার করছেন তার ওপর নির্ভর করে৷

ফ্লুয়িড চেক

গাড়ির ফ্লুয়িডের দিকেও নজর রাখতে হবে আপনাকেই৷ কুল্যান্ট, ব্রেক, পাওয়ার স্টিয়ারিং, ট্রান্সমিশন এবং উইন্ডশিল্ড ওয়াইপার সব কিছুর দিকেই নজর দিতে হবে৷ সব চেয়ে ভালো হয় তেল বদলানোর সময় এই জিনিসগুলিও দেখে নিন৷ কিন্ত্ত কীভাবে? খুব সহজ৷ গাড়ির ইউজার ম্যানুয়ালেই লেখা থাকে কীভাবে ফ্লুয়িড চেক করতে হয়৷

বায়ু চাপ মাপুন

মাসে অন্তত একবার গাড়ির টায়ারের বায়ু চাপ মেপে নিতে ভুলবেন না৷ টায়ার গেজ ব্যবহার করে এই পরিমাপ করে ফেলুন৷ নিজের ইউজার ম্যানুয়ালে ভালো করে দেখে নিন যে কতটা পরিমান বায়ু চাপ আপনার গাড়ির জন্য জরুরি৷ তবে গাড়ির টায়ার যখন ঠাণ্ডা থাকবে তখন এই পরিমাপ করুন৷

ব্যাটারিজনিত পরীক্ষা

প্রতি তিন থেকে পাঁচ বছর অন্তর গাড়ির ব্যাটারি কেমন আছে সেটা পরীক্ষা করে নিন৷ ওপেন সার্কিট ভোল্টেজ পরীক্ষাটি ব্যাটারি কেমন রয়েছে দেখার আদর্শ উপায়৷ কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ রাখার পর এই পরীক্ষা করবেন৷ মাল্টিমিটার, ভোল্টমিটার কিংবা অন্য কোনও ব্যাটারি টেস্টার দিয়ে পরীক্ষাটি নিজে করে নিতে পারেন৷ সবচেয়ে ভালো হয় এক্ষেত্রে কোনও মেকানিকের সঙ্গে শলা পরামর্শ করে নেওয়া৷

ব্রেক সম্বন্ধীয় পরীক্ষা

গাড়ির ব্রেক কিন্ত্ত খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ তাই আগে ব্রেক জনিত সব পরীক্ষা করে নিন৷ কম্পন কিংবা দেরীতে প্রতিক্রিয়া হলেই কিন্ত্ত বুঝবেন যে কোনও গন্ডোগোল হচ্ছে৷ তত্ক্ষণাত্ গাড়িটি গ্যারেজে নিয়ে যান৷

মাঝেমধ্যেই চেক আপ

আপনি যেরকম রুটিন চেক আপ করান ঠিক তেমনই গাড়িরও চেক আপের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে৷ তাই কিছু মাস অন্তর অন্তরই গাড়িকে মেকানিকের কাছে পাঠিয়ে সার্ভিসিং করে নিন৷ এতে গাড়ি চালানোর সময় কোনওরকম দ্বিধা কাজ করবে না৷

এমারজেন্সি কিট

রাস্তা ঘাটে গাড়ি খারাপ হতেই পারে৷ তাই সবসময় গাড়িতে একটা আপতকালীন কিট রাখুন যাতে ছোট খাটো সমস্যা আপনিই মিটিয়ে নিতে পারেন৷ কিটের মধ্যে জাম্পার কেবিল, ফ্ল্যাশলাইট, স্পেয়ার টায়ার, টো স্ট্র্যাপ, জ্যাক, রেঞ্চ, প্লিয়ার এবং স্ক্রু ড্রাইভার অবশ্যই রাখবেন৷

বিমা করান

গাড়ি কেনার সঙ্গে সঙ্গেই আজকাল বিমা করিয়ে দেওয়ার প্রথা চালু হয়েছে৷ এটা কিন্ত্ত আপনার ভালোর জন্যই৷ কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে বিমা কোম্পানিই গাড়ির যাবতীয় খরচভার বহন করবে৷ সুতরাং কেনার সময়েই বিমা করিয়ে নেওয়াটাই কিন্ত্ত বুদ্ধিমানের কাজ৷

কলকাতায় যদি আসে টিনটিন

$
0
0

সত্যিই তিনি এলে কেমন হবে? টিনটিনর কলকাতা কানেকশনের দুই শিল্পী শেয়ার করলেন তাঁদের গল্প। শুনলেন পিযূষ আশ

মায়াপুরের কাছে থাকতাম৷ ছোটবেলায় আমাদের গ্রামে ইলেকট্রিসিটি ছিল না৷ তা, বাবা পত্রিকা এনে দেওয়ার পর সেখানে টিনটিনের কমিকস পড়েছি গোগ্রাসে , এমনকী হ্যারিকেনের আলোতেও৷ পড়তাম , আর ছোটবেলা থেকেই কাঁচা হাতে আঁকতাম হলুদ চুলের সামনের দিকে টিকিওলা ছেলেটার ছবি , সঙ্গে কুকুর৷ পরে জেনেছিলাম ওই চুলটাকে স্পাইক বলে৷ টিনটিন থেকে এভাবে অনেক কিছু জেনেছি , যা বইয়ের পাতায় পাইনি৷ ওই পাড়া -গাঁয়ে বসে ইওরোপের স্থাপত্য , চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ , তিব্বতের পাহাড় , দক্ষিণ আমেরিকার জঙ্গল ---আরও কত কী !

ছোট থেকে বড় হয়েছি , স্কুল থেকে কলেজ , কৃষ্ণনগর থেকে আমেদাবাদ , দিল্লি হয়ে এখন অস্ট্রেলিয়ায়৷ টিনটিন আর স্কেচবুক আমায় ছাড়েনি৷ সব সময় সঙ্গে থাকে৷ এই ভালোবাসা থেকেই দেশ থেকে বহুদূরে বসে টিনটিনের জন্মদিন উপলক্ষে এঁকে ফেললাম ছবিটা৷ এরপর দুয়ের পাতায়সত্যিই তিনি এলে অ্যাডভেঞ্চার কেমন হবে ? টিনটিনের কলকাতা কানেকশনের দুই শিল্পী শেয়ার করলেন তাঁদের গল্প৷ শুনলেন পীযূষ আশটিনটিন সিরিজ শুরু হয়েছিল ১৯২৯ সালের ১০ জানুয়ারি৷ সেই হিসেবে এটা টিনটিনের জন্মমাসের শেষ দিন৷ সেই সুবাদে দুনিয়াজুড়ে ‘ফ্যান মেড ’ টিনটিন কমিকস -এর ছড়াছড়ি৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল৷ কী আশ্চর্য, এই ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত কলকাতাও৷ অর্থাত্, কলকাতায় টিনটিন৷ এমনকী দিল্লির বেলজিয়ান দূতাবাসও এমন একটি ছবি ট্যুইট করেছে , যাতে দেখা যাচ্ছে টিনটিন তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে খাস হাওড়া ব্রিজের সামনে৷ বাঙালি পোশাকে৷ নেস্টরের হাতে তো রসগোল্লার হাঁড়ি !

আবার ভাইরাল হওয়ার ছবির মধ্যে দেখা যাচ্ছে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে এই তরুণ সাংবাদিক হাজির৷ কারা বানাচ্ছেন এই ছবি ? নিখঁুত পেশাদার এই ছবিগুলি আঁকার অনুপ্রেরণাই বা কী ? আর সত্যিই যদি অ্যাডভেঞ্চারের খোঁজে টিনটিন হাজির হয় বঙ্গদেশে , তবে কেমন হতে পারে তার প্লট ?

হাওড়া ব্রিজের সামনে টিনটিন আর তার বন্ধুরা৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলাম৷ সাড়া পেলাম দেশবিদেশ থেকে৷ হঁ্যা , বেলজিয়াম থেকেও৷ এরপর দিল্লির বেলজিয়ান এমব্যাসি তাদের পেজ -এ ছবিটা শেয়ার করে৷ অনেকে জিজ্ঞেস করেছে , রনসন -জনসন বিয়ের পোশাকে কেন ? ওরা কি বিয়ে করছে ? যারা টিনটিন -ফ্যান তারা ভালোই জানে , ছদ্মবেশ নেওয়া এই মানিকজোড়ের বাতিক৷ আর ছদ্মবেশ নিতে গিয়ে এমন পোশাক পরে , যাতে আত্মগোপন তো দূরের কথা , ওদেরই সব চেয়ে আগে চোখে পড়ে৷ এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে৷ আমার মনে হয় ওদের কেউ বিয়ের পোশাকটা গছিয়ে দিয়েছে৷ সে যাই হোক , টিনটিনের অ্যাভঞ্চোরের জেরে সরকার উল্টে গিয়েছে , জাল নোট -আফিম -চোরাকারবারিদের ধরা পড়েছে৷ এদেশে এলে টিনটিনকে দিয়ে নেতাজির অন্তর্ধান কিংবা হোমি ভাবার বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত করিয়ে নেওয়া যেত৷ সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হত বাংলার ল্যান্ডস্কেপ৷ ক্যাপ্টেন হ্যাডকের জাহাজ ভিড়ত কলকাতা বন্দরে৷ এরপর সুন্দরবনের খাঁড়ি থেকে শুরু করে , কাশফুলের জঙ্গল৷ রাঙামাটি পেরিয়ে ক্লাইম্যাক্স দার্জিলিঙে৷ এর মাঝে আসত আলেয়ার আলো , ফটাস জল , কচুবন ---আরও কত কী ! চেষ্টা করব একদিন এই টিনটিন কমিকস তৈরি করার৷ দেখা যাক৷ ঋদ্ধিরাজ পালিতগ্রাফিক ডিজাইনারটিনটিনকে নিয়ে প্রচুর ‘ফ্যান মেড ’ কমিকস আছে৷ তাহলে ‘কলকাতায় টিনটিন ’ হবে না কেন ? ডিজিটাল পেইন্টিং শেখার সময় থেকে এই ইচ্ছেটা তীব্র হয় আমার মধ্যে৷ তাছাড়া টিনটিন -স্রষ্টা আর্জে তো এই শহর নিয়ে গপ্পো ফাঁদার কথা বলেওছিলেন একবার৷ যাই হোক , প্রথমেই আমার পক্ষে একটা পুরোদস্ত্তর কমিকস তৈরি করা সম্ভব ছিল না৷ ঠিক করি আগে ‘কলকাতায় টিনটিন ’-এর কভারটা তৈরি করব৷ একটা খসড়া বানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম৷ রাতে পোস্ট , সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি পোস্টটা ভেসে যাচ্ছে লাইক , কমেন্ট আর শেয়ার -এ৷ প্রথমটা করেছিলাম ২০১৬-তে৷ রিসেন্টলি করেছি আরেকটা৷ শ্যামবাজারের সামনে দাঁড়িয়ে আছে টিনটিন৷

মাথার মধ্যে অনেকগুলো গল্প ঘুরপাক খাচ্ছে৷ এর মধ্যে থেকে ফাইনাল করেছি একটা -রবি ঠাকুরের নোবেল চুরি৷ ব্যাপারটা এ -রকম : অনেকদিন অ্যাডভেঞ্চার না -পেয়ে কুট্টুস বিরক্ত৷ ব্রাসেলস -এর রাস্তায় টিনটিনের সঙ্গে হাঁটতে বেরিয়েছে৷ হঠাত্ একজনের সঙ্গে ধাক্কা৷ লোকটা বাঙালি পোশাক পরা৷ আর ধাক্কার চোটে , তার থেকে একটা ব্যাগ মাটিতে পড়ে যায়৷ ইতিমধ্যে রনসন -জনসন হাজির৷ ওরাই লোকটাকে ধাওয়া করেছিল৷ টিনটিন জানতে পারে নোবেল চুরি সম্পর্কে৷ আর রাস্তায় কুড়ানো ব্যাগেই মেলে খোয়া যাওয়া সোনার মেডেল৷ টিনটিন ঠিক করে সে জোঁড়াসাকোয় এসে নোবেল ফেরত দেবে৷

প্লেনে বসে ও ‘গীতাঞ্জলি ’ পড়ে নেয়৷ টিনটিনের সঙ্গে কলকাতায় আসে রনসন -জনসনও৷ নোবেল খোয়া গেল কীভাবে , তারই তদন্ত শুরু করে টিনটিন৷ নেয় ছদ্মবেশ৷ এমনকী কলকাতা পুলিশের সঙ্গে অল্পবিস্তর ঝামেলাও হয় তার৷ বারকয়েক টিনটিনের ওপর হামলা হয় ওই নোবেল কেড়ে নেওয়ার জন্য৷ কিন্ত্ত ক্যাপ্টেন হ্যাডককে সঙ্গে নিয়ে টিনটিন সবক ’টা হামলাই ভেস্তে দেয়৷ শেষে কলকাতা সেলিব্রেট করবে টিনটিনের সাফল্য , গড়ের মাঠে , বহু মানুষের মাঝে !

খারাপ লাগে যখন নতুন রাও কপি করে

$
0
0

অনামিকা খান্না৷ মুম্বই ফ্যাশন উইকের গ্র্যান্ড ফিনালের ডিজাইনার৷ শেড , শিল্যুয়েট ইত্যাদির বাইরে গিয়ে এই মুহূর্তের চ্যালেঞ্জগুলোর কথাও বললেন৷ তাঁর সঙ্গে আড্ডায় দেবলীনা ঘোষ মুখোপাধ্যায়
মুম্বইয়ে ফ্যাশন উইক শুরু হয়ে গিয়েছে৷ ডিজাইনারের কলকাতা কানেকশনের জন্যই মুম্বইয়ের আগে কলকাতা দেখল তাঁর কালেকশনের ঝলক৷
অন্য সময় : ২০১৮ -র ফ্যাশন ট্রেন্ড কী ?


অনামিকা : নিউড কালারই এই বছরেরও ট্রেন্ড৷ মেকআপ -এর সঙ্গে সঙ্গে পোশাকেরও৷ নিউডের সঙ্গে কিন্ত্ত রং ও থাকবে৷ তাই আমি বলব , এই বছরটা নিজের পছন্দের রং , নিজের পছন্দের শেড বেছে নেওয়ার সময়৷ এ বছরের ট্রেন্ড ‘একলেকটিকট'। মানে বিস্তৃত রঙের মধ্যে থেকে নিজের পছন্দেরটা বেছে নেওয়া৷ কিন্ত্ত নিউডটাও থাকবে৷


অন্য সময় : পাইরেসি বা কপি , ডিজাইনার -ওয়্যারের বাজার কতটা খারাপ করছে ?


অনামিকা : এই বিষয়টা নিয়ে ভাবলে মাথা খারাপ হয়ে যায়৷ এই চিন্তাটাই ‘কিলার ’৷ তাই জেনেবুঝেও আমরা চোখ বন্ধ করে রাখি৷ একটা কোনও ডিজাইন তৈরি করলে তার হাজার হাজার সস্তার কপি বেরিয়ে পড়ে৷ জানি না কী করে এটাকে সামলানো সম্ভব৷ সব থেকে খারাপ লাগে যখন দেখি তরুণ ডিজাইনাররাও স্বকীয়তার কথা মাথায় না রেখে কপি করছেন৷ বাকিদের কিছু বলার নেই৷ কিন্ত্ত এই নতুনদের ব্যাপারটা কিছুতেই মেনে নিতে পারি না৷


অন্য সময় : আর ডিজাইনার পোশাক ভাড়া নেওয়া ?


অন্যমিকা : এটাও একটা মারাত্মক ট্রেন্ড৷ ডিজাইনার -ওয়্যারের বাজার খারাপ করার জন্য যথেষ্ট৷ আমি বুঝতেই পারি না এই ধরনের ট্রেন্ড কী করে চলে৷ কিন্ত্ত কিছু করারও তো নেই৷ তবে একেবারেই সমর্থন করা যায় না ডিজাইনার -ওয়্যার ভাড়া নেওয়াকে৷ কুত্যুর -এর কনসেপ্টটাই নষ্ট করে দিচ্ছে৷


অন্য সময় : কলকাতায় ডিজাইনার -ওয়্যারের বাজার কি সত্যিই ভালো ?


অনামিকা : ক্রমশ ভালো হচ্ছে৷ এখানে এখন ডিজাইনার -ওয়্যারের চাহিদা রয়েছে৷ কনশাসনেস বাড়ছে৷ মানুষ ডিজাইনার -ওয়্যারে ইনভেস্ট করতে চাইছেন৷ আগে টাকা থাকলেও যেটাকে হয়তো তাঁরা অপচয় হিসেবে ভাবতেন৷ তাই কলকাতার বাজারও দেশের অন্যান্য শহরের মতোই এখন চাঙ্গা৷


অন্য সময় : সোশ্যাল মিডিয়া এখন ফ্যাশনের জন্য কতটা জরুরী ?


অনামিকা : ভীষণ৷ নিজের স্টেটমেন্ট তৈরি করা , স্টাইল শো -কেস করার জন্য আদর্শ৷ অনেক ক্লায়েন্টও পাওয়া যায় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে৷ তাই সোশ্যাল মিডিয়া এই মুহূর্তে ফ্যাশনের জন্য অত্যন্ত শক্তিশালী মাধ্যম৷ বিশেষ করে ইনস্টাগ্রাম৷ সারা বিশ্বে নিজের কাজ শো -কেস করা যায়৷ এর থেকে ভালো আর কী হতে পারে ?


অন্য সময় : সমসাময়িকদের মধ্যে থেকে প্রিয় ডিজাইনার বাছতে হলে কাকে বাছবেন ?


অনামিকা : অনেকের কাজই ভালো লাগে৷ আর সবার কাজেই নজর রাখতে হয়৷ তবে একজনকে বাছতে বলে আমি রোহিত বালের নাম করব৷ অত ক্ল্যাসিক আর ইনট্রিকেট ডিজাইন আর কেউ করতে পারেন না৷ রোহিত মাস্টার ক্রাফ্টসম্যান৷ ওঁর কাজের তুলনা হয় না৷


অন্য সময় : এ বছর সোনম কাপুর বিয়ে করতে চলেছেন বলে শোনা যাচ্ছে৷ আপনি তো ওঁর ঘনিষ্ট৷ কী ধরনের পোশাক ডিজইন করবেন বিয়ের জন্য ?


অনামকিা : এ বিষয়ে আমি কিচ্ছু বলতে পরব না৷ সোনমের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক৷ একেবারে পারিবারিক বিষয়ের মতো৷ পুরোটা একেবারেই প্রাইভেট ব্যাপার৷


অন্য সময় : গোল্ডেন গ্লোবের জন্য সবাই যখন কালো পোশাক বানালেন , আপনি লাল বেছে নিলেন৷ কেন ?


অনামিকা : আমার ক্লায়েন্ট মেহের (তাতনা ) আর আমি অনেক আলোচনার পর লাল রং বেছে নিই৷ আমাদের মনে হয়েছিল পোশাকে সেলিব্রেশনের ছোঁয়া থাকা উচিত৷ ভারতে আমরা রং দিয়েই সেলিব্রেট করি৷ তাই সেই রীতি মেনেই ওঁর পোশাক ভাইব্র্যান্ট রেড৷ এটা মেহেরের সিদ্বান্ত ছিল৷ এতটা সাহসী হওয়ার জন্য ওঁকে সত্যিই কুর্নিশ করি৷


অন্য সময় : এবারের ফ্যাশন উইকের জন্য কোন ধরনের পোশাক বানাচ্ছেন ?


অনামিকা : এবারের ল্যাকমে ফ্যাশন উইকের সামার -রিসর্ট ২০১৮ -র গ্র্যান্ড ফিনালের জন্য নিউড প্যালেটই বেছে নিচ্ছি৷ তবে এই বছর অনেক এক্সপেরিমেন্ট করেছি৷ এতটা নিউড এবং এক্সপেরিমেন্টাল ফ্যাশন আমাদের জন্য প্রথম৷ রং -ও থাকবে৷ কিন্ত্ত নিউড আর রঙের মিশেলটাই এ বছরের ফিনালের আকর্ষণ৷ শিল্যুয়েট , শেপ নিয়েও এক্সপেরিমেন্ট করা হয়েছে৷ আশা করি দর্শকদের ভালো লাগবে৷

গরমেও কালো

$
0
0

কে বলেছে গরমে কালো পরতে পারবেন না ? বছরের শুরুতে হয়ে যাওয়া প্রথম ফ্যাশন উইক তো অন্য ট্রেন্ড -এর কথাই বলে৷ র্যাম্প থেকে রেড কার্পেট সর্বত্রই কালো পোশাকের ছড়াছড়ি৷ তাই আপনিও এই গরমে পছন্দ করুন কালো৷ নিয়ম করে অফিস করতে হলে বেছে নিতে পরেন কলো স্কার্ট৷ পেনসিল কাট পছন্দ না করে একটু ফ্লোয়ি কাট বেছে নিন৷ অ্যার্কডিয়ান প্লিট বা র্যাপ অ্যারাউন্ড মন্দ হবে না৷ শর্ট লেংথ স্যুটও ট্রাই করতে পারেন৷ তবে খেয়াল রাখবেন ফ্যাব্রিক যেন খুব ভারী না হয়৷ গরম মানেই সুতি৷ লিনেন আর সুতিতে কালো ডাই করা পোশাক পরতে পারেন৷ পুরুষরা ট্রাউজারস -এর কাট নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করুন৷ কিন্ত্ত ফ্যাব্রিকটা রাখুন হাল্কা৷
হাল্কা রঙের কোনও পোশাকের সঙ্গে কালো ডাংরি বা গ্যালেস দেওয়া স্কার্ট, ট্রাউজারসও মন্দ লাগবে না৷ স্লিভলেস এলবিডিও অনায়াসে পরতে পারেন রাতের পার্টিতে৷ ব্রাঞ্চে গেলে কালোর সঙ্গে সাদা বা কোনও প্যাস্টেল শেড টিম -আপ করুন৷ অ্যাকসেসরির রং রাখুন হাল্কা৷ কালোর সঙ্গে হাল্কা রঙের সিক্যুইনও মন্দ লাগবে না৷ তবে সকালে না পরাই ভালো৷ ক্রপ টপেও কালো রং বেছে নিতে পারেন৷ সাদা বা লাল রঙের এজিং থাকলে মানাবে ভালো৷ ফ্যাব্রিক যদি শিফন হয় , তাহলে বোল্ড প্রিন্টও ভালো লাগবে৷ কালো , প্রিন্টেড কভার আপ বা সারং -এর সঙ্গেও হট প্যান্টস আর বুস্তিয়ার মন্দ লাগবে না৷ ট্রাই করতে পারেন৷
সুতরাং শীত হোক বা গ্রীষ্ম , কালো পোশাক পরুন জমিয়ে৷ শুধু ফ্যাব্রিক , কাট , নেকলাইন আর হেমলাইনে নজর রাখুন৷ তাহলেই হয়ে উঠবেন ফ্যাশনিস্তা৷ তাই এই গরমে কালো মাস্ট৷
গরম পড়ছে বলেই কালো পোশাক আলমারিতে তুলে দিচ্ছেন ? তার কিন্ত্ত কোনও প্রয়োজন নেই৷ এই মরশুমেও অনায়াসে পরতে পারেন কালো৷ শুধু পোশাক বাছার ক্ষেত্রে একটু সচেতন হন ৷

বিবাহিত নয়, বরং 'সিঙ্গল' থাকার উপকারিতাই বেশি! বলছে বিজ্ঞান

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: আপনি কি এখনও সিঙ্গল? এ বারের ভ্যালেন্টাইনস ডে-তেই কি একাকীত্ব কাটানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন? তাহলে একটু দাঁড়ান। এই প্রতিবেদন আপনার চিন্তাধারা বদলেও দিতে পারে। বিজ্ঞানীদের গবেষণার রিপোর্ট বলছে, সিঙ্গল থাকার একাধিক সুবিধে রয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়া স্যান্টা বারবারার মনোবিদ বেলা দেপাওলো তাঁর গবেষণার কথা বিভিন্ন দেশে তুলে ধরেছেন। তাঁর তত্ত্ব খারিজ করে দিতে পারেননি অনেক মনোবিদই। TEDx Talk-এ তাঁর বক্তৃতাতেও সিঙ্গল থাকার পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছেন তিনি। তাঁর গবেষণার বিভিন্ন দিকগুলির দিকে একবার নজর রাখা যাক।

'সিঙ্গল'দের সোশ্যাল নেটওয়ার্ক শক্তিশালী

২০১৫ সালে সমাজবিজ্ঞানী নাতালিয়া সারকিসিয়ান ও নওমি গার্স্টেল বিবাহিত এবং অবিবাহিত প্রাপ্তবয়স্কদের আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে মেলামেশার একটা তুলনা তুলে ধরেছিলেন। তাঁদের গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, অবিবাহিতদের সোশ্যাল নেটওয়ার্ক শুধু যে শক্তিশালী তা নয়, তাঁরা সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষকে সহযোগিতা দেওয়া ও পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সহজলভ্য। যেটা দেখা যায় না বিবাহিতদের ক্ষেত্রে।

অবিবাহিতরা সাধারণত বেশি ফিট হন

বিয়ের পর বহু মানুষের ক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর কিছু অভ্যেস জীবনযাত্রায় যুক্ত হয়, যা তাঁদের শারীরিক ফিটনেসে ব্যাঘাত ঘটায়। ১৮-৬৪ বছর বয়সি ১৩,০০০ মানুষের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে গবেষকরা দেখেছেন, যাঁরা অবিবাহিত তাঁদের মধ্যে নিয়মিত ওয়ার্ক-আউট করার অভ্যেস বেশি। যে প্রবণতা বিবাহিত বা ডিভোর্সিদের মধ্যে অনেক কম। ২০১৫ সালে সোশ্যাল

সায়ান্স অ্যান্ড মেডিসিনে প্রকাশিত একটি পত্রিকায় বিবাহিত ও অবিবাহিতদের বডি মাস ইনডেক্স নিয়ে একটি গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতে দাবি করা হয়, ৯টি ইউরোপিয় দেশে ৪,৫০০ জনের উপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, বিবাহিতদের থেকে অবিবাহিতদের BMI গড়ে কম। এছাড়াও বিবাহিতদের ওজন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অবিবাহিতদের থেকে ৪-৫ পাউন্ড বেশি তাকে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

একাকী সময়কে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিসত্ত্বার অগ্রগতিতে বেশি সক্ষম 'সিঙ্গল'রা

বিভিন্ন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, স্বাধীন জীবনযাপন সৃজনশীলতার মাত্রা বাড়িয়ে ব্যক্তিসত্ত্বার অগ্রগতিতে সহায়তা করে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অ্যামি মোরিনের দাবি, একাকী সময় ব্যক্তির উত্‍‌পাদনক্ষমতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। তাঁর কথায়, 'একাকী সময় একাকীত্ব আনে না। বরং নিজেকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করে।'

২০১৬ সালে আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনে তাঁর দেওয়া প্রেজেন্টেশনে তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরে দেপাওলো দাবি করেছিলেন, অবিবাহিত ব্যক্তিদের অনুভূতি অনেক গভীর। তাঁদের নিজের উপর আস্থাও অনেক বেশি থাকে। বিবাহিতদের থেকে তাঁদের মানসিক বিকাশের সুযোগও অনেক বেশি।

এ বার আপনি কোন পথে হাঁটবেন? সেটা একেবারেই আপনাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।

এবার আসছে হিউম্যানয়েড সঙ্গিনী

$
0
0

সেক্স -বট -ও হতে পারে , বা একাকিত্বের সঙ্গী৷ আর তাদের পিছু নেওয়া ছোটখাটো কয়েকটি বিতর্ক? হিউম্যানয়েড প্রস্ত্ততকারক এক মার্কিন সংস্থা , যারা আগে সেক্স -বট তৈরি করত , তারাই এবার হাত দিয়েছে হিউম্যানয়েড তৈরিতে৷ তাদের দুনিয়াটা জানার চেষ্টা করলেন পীযূষ আশ

সোফিয়ার কথা জানেন নিশ্চয়ই ? সোফিয়া যন্ত্র -সুন্দরী৷ রোবট৷ আর ঠিকভাবে বলতে গেলে ‘সোশ্যাল হিউম্যানয়েড রোবট ’৷ সোফিয়া কথা বলতে পারে , ইন্টারভিউ দিতে পারে , তার রসবোধ আছে , আর ৬২ রকম মুখের ভাব প্রকাশে সক্ষম৷ সবচেয়ে বড় কথা হল , সে , থুড়ি তিনি , সৌদি আরবের নাগরিক৷ গতবছর অক্টোবর মাসে সোফিয়াকে নাগরিকত্ব দিয়েছে সৌদি সরকার৷ এই গ্রহে সোফিয়াই প্রথম রোবট , যিনি কোনও দেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন৷ অবাক হবেন না ! রোবট -যুগে আপনাকে স্বাগত৷ আইজাক আসিমভ তো সেই কবেই , পাঁচের দশকে ‘আই , রোবট ’ সিরিজে কল্পনা করেছিলেন একবিংশ শতাব্দীতে রোবটরা আমাদের সমাজে গিজগিজ করবে৷ আমাদের সত্যজিত্ রায়ের গল্পেও (অনুকুল ) তো বুদ্ধিমান রোবট পরিচারকের পরিচয় পেয়েছে বাঙালি৷ কিন্ত্ত সেই রোবটের দল কোথায় গেল ? সোফিয়া কি ব্যতিক্রম , নাকি রোবটরা আমাদের পাশের ঘরে এল বলে ? উত্তরটা দ্বিতীয় সম্ভাবনার দিকে ঝঁুকছে , বলাই বাহুল্য৷
এমনিতে ‘রোবট ’ ব্যাপারটা অনেক দিন ধরেই আমাদের নানা কাজে লাগে৷ শিল্পক্ষেত্রে অটোমেশন অন্তত তিন দশক ধরে রাজত্ব করছে৷ কিন্ত্ত হিউম্যানয়েড বা মানুষের মতো দেখতে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র , অর্থাত্ কিঞ্চিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সমেত রোবট হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ছে আমাদের ড্রইংরুমে৷ সোফিয়ার নাগরিকত্ব সম্ভবত তারই আভাস৷ আর এটাও স্বীকার্য, এই প্রবণতার অনেকটা জুড়ে রয়েছে ‘সেক্স ইন্ডাস্ট্রি ’ বা ‘সেক্স ডল ’৷ কিন্ত্ত এখন আর স্রেফ যৌন সঙ্গী বা সঙ্গিনী নয় , নানা কারণে ‘হিউম্যানয়েড ’ বাড়ির লোক হওয়ার পথে৷ কেন ? ই -মেল মারফত এই সব প্রশ্নের জবাব দিলেন মার্কিন হিউম্যানয়েড প্রস্ত্ততকারী সংস্থা ‘ডিএস টেকনোলজিস কর্পোরেশন ’-এর সিডিও বা চিফ ডেভেলপমেন্ট অফিসার স্টিভেন্স চিয়াও উ৷

অন্য সময় : সেক্স ডল -এর চেয়ে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স সমেত হিউম্যানয়েড তৈরির প্রবণতা কেন বাড়ছে ? কেনই বা দুনিয়াজুড়ে এত গবেষণা ?

স্টিভেন্স চিয়াও উ : নানা কারণে৷ সেক্স ডল -এর চাহিদা অনেকটাই সামাজিক কারণে৷ যেমন জাপানে একা থাকার প্রবণতা বেশি৷ জনসংখ্যা কমছে৷ লোকে বিয়ে করছে না পেশাগত চাপের জন্য৷ আবার চিনের মতো বড় দেশে নারীর তুলনায় পুরুষের হার অনেক বেশি৷ পশ্চিমের পাশাপাশি তাই এশিয়ার নানা প্রান্তেও সেক্স ডল -এর চাহিদা ছিল৷ কিন্ত্ত এখন যৌনতা নয়৷ সঙ্গী দরকার৷ চিকিত্সা ক্ষেত্রে উন্নতির কারণে মানুষের গড় আয়ু এখন অনেক বেশি৷ পৃথিবীর একটা বড় অংশে ‘ওল্ডার জেনারেশন ’-এর সংখ্যা বাড়ছে৷ তাঁরা অনেক ক্ষেত্রেই একা , নিঃসঙ্গ৷ তাঁদের কথা বলার লোক নেই , বা গেরস্থালীর কাজে সাহায্য করার সব সময়ের সঙ্গী দরকার৷ ঠিক এই জায়গাতেই আবশ্যিক হয়ে পড়ছে হিউম্যানয়েড৷

অন্য সময় : এই হিউম্যানয়েডরা কেমনভাবে আমাদের সাহায্য করবে ?

স্টিভেন্স : হিউম্যানয়েড নিয়ে আমাদের গবেষণা শুরু ২০১৪ সাল থেকে৷ আমেরিকা -ইউরোপে আমাদের যেমন ল্যাব আছে , তেমনই সংস্থার ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট চিনে৷ প্রাথমিকভাবে আমাদের প্রোডাক্ট ছিল প্রয়োজন মতো রোবোটিক সেক্স -ডল তৈরি করা৷ কিন্ত্ত এখন আমাদের গবেষণা পুরোপুরি হিউম্যানয়েড তৈরি৷ যে হিউম্যানয়েড দেখতে সুন্দর৷ যে হিউম্যানয়েড মানুষের মতোই মুখের ভাব বদলাতে পারে৷ মানুষের সঙ্গে ‘ইন্টারঅ্যাকশনে ’ যতটা সম্ভব মানুষের মতোই৷ আমরা যে প্রোটোটাইপ আর সফটওয়্যার তৈরি করেছি , তার ভিত্তিতে এই হিউম্যানয়েডকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে হাতের স্মার্টফোন থেকেই৷ বিশেষ একটি অ্যাপের সাহায্যে৷ আপাতত আমাদের প্রোটোটাইপ ইংরেজি , চিনা আর জাপানি ভাষায় কথোপকথনে সক্ষম৷ পরে কয়েকটি ইউরোপিয় ভাষা যুক্ত করা হবে৷ ব্লু-টুথের মাধ্যমে এই হিউম্যানয়েড অন -লাইন থাকবে৷ গুগল যেমন অনলাইন সার্চ করে আমাদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যসামগ্রী হাজির করে , এই হিউম্যানয়েডও সাইবার দুনিয়া থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য বেছে মানুষকে সাহায্য করবে৷ অর্থাত্ কেউ কোনও প্রশ্ন করে কিছু জানতে চাইলে , সে কথা বলেই উত্তর দেবে৷ আরেকটি প্রয়োজনীয় বিষয় , আমাদের যে -সব সিলিকন বেসড সেক্স ডল রয়েছে , সেগুলোকেও এই হিউম্যানয়েডে আপগ্রেড করা যাবে৷ অর্থাত্, সেক্স ডলের মস্তিস্কে কিছুটা যান্ত্রিক রদবদল আর ব্যবহারকারীর মোবাইলে নতুন একটি অ্যাপ৷ তাহলেই আপনার বাড়িতে একটি বুদ্ধিমান হিউম্যানয়েড৷

অন্য সময় : আপনারা ভারতে সেক্স -ডল রফতানি করেছেন ? হিউম্যানয়েড ভারতে পাঠানোর পরিকল্পনা আছে ?

স্টিভেন্স : না৷ ভারতের মানুষ সেক্স -ডল পছন্দ করেন না৷ ভারতের নিয়মকানুন সেক্স -ডল ব্যবহারের অনুকুল নয় , যাবতীয় সেক্স -টয় নিষিদ্ধ৷ কয়েক বছর আগে ভারতের এক বিখ্যাত চিত্র পরিচালক আমায় এক ঘটনা বলেছিলেন৷ তাঁর পরিচিত এক তরুণ আমাদের সংস্থার একটি সেক্স -ডল আনিয়েছিলেন৷ সেই তরুণকে সেক্স -ডল ব্যবহারের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল৷ ওই পরিচালক খুব শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে নাকি ছবি বানাবেন৷ নৈতিক কারণেই আমি এঁদের পরিচয় এর চেয়ে বেশি দিতে পারব না৷

অন্য সময় : ‘সেক্স -বট’ নিয়ে সমালোচনাও কম হচ্ছে না৷ সমাজে এমন অনেক মানুষ আছেন , যাঁরা নারীদের প্রাপ্য মর্যাদা দেন না৷ ‘সেক্স -বট’ কি এমন মানুষদের নেতিবাচক মনোভাব উসকে দেয় না ? অন্তত কিছু মনোবিদ তো এমনটাই আশঙ্কা করছেন ?

স্টিভেন্স : এটা একটা সঙ্গত বিতর্ক৷ আমাদের সমাজে এমন কিছু পুরুষ রয়েছেন যাঁরা নারীর যথার্থ মর্যাদা দেন না৷ তাঁদের কাছে নারী মানে যৌনতা , বাড়ির কাজ কিংবা পরিবার বৃদ্ধির একটা মাধ্যম৷ এই মনোভাবকে মোটেই সমর্থন করা যায় না৷ কিন্ত্ত অন্যভাবে বলতে গেলে এমন কিছু বিকৃতমনস্কা যদি সেক্সবট কিনে নিজেদের ইচ্ছে চরিতার্থ করে , তাহলে কি কিছুটা স্থিতাবস্থা আসবে না৷


অকারণে হাসুন , স্রেফ হাসুন

$
0
0

ভুগে ভুগে ক্লান্ত ? আমরা সকলেই জানি কাজের চাপ আমাদের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়৷ জেনে রাখুন , হাসি হল স্ট্রেস এবং ডিপ্রেশনের অ্যান্টিডোট৷ পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে আমাদের ইমিউন সিস্টেমে হাসির একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷ তাই সিদ্ধান্ত নিন স্ট্রেস আর টেনশনকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য এবার থেকে কারণ ছাড়াই হাসবেন৷ এতে অন্য অসুখ আর ধারে -কাছে ঘেঁষতে পারবে না৷

 কাজে উত্সাহ পাচ্ছেন না ? আমরা প্রত্যেকেই কোনও না কোনও সময়ে কাজ করতে করতে কাজের প্রতি উত্সাহ হারিয়ে ফেলি৷ উত্সাহ ফিরিয়ে আনার একমাত্র রাস্তা হল যখনই সময় পাবেন সমস্যাকে তুড়ি মেরে হাসতে থাকুন সহকর্মীদের সঙ্গে৷ লক্ষ্য করবেন পর মুহূর্তেই আপনার স্ট্রেস লেভেল উধাও৷ প্রতিটি কর্মক্ষেত্রেই কর্মাধ্যক্ষের উচিত একটা লাফটার সেশন রাখা৷ এটা থাকলে প্রোডাক্টিভিটি বাড়বে , বাড়বে সংস্থার লাভ৷ তাই চাপ ভুলে খুশি থাকার চেষ্টা করুন৷ এতে কাজ সামলানো অনেক সহজ হবে৷

 লেখা -পড়ার চাপে ভুগছেন ? পরীক্ষায় ভালো নম্বরের জন্য বাবা -মা এবং গৃহশিক্ষকদের চাপে বাচ্চাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত৷ বাচ্চারা যদি নিজের মনে খানিক হেসে নেয় তাহলে শরীরে নতুন এনার্জি পাবে এবং লেখা পড়ায় আরও ভালো করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়বে৷ গবেষকরা বলেন হাসি শিক্ষার্থীদের লেখা -পড়ায় মনোনিবেশ এবং বুদ্ধি বাড়ানোর ব্যাপারে সহায়ক৷ অতএব , বাচ্চারা বাবা -মা এবং গৃহশিক্ষকদের ভয় না পেয়ে যদি তাদের সঙ্গে অকারণে খানিক হেসে নেয় , তাহলে তাদের উপকারই হবে৷ তাই তাদের হাসতে শেখা উচিত , শেখার জন্য হাসা উচিত৷

 সম্পর্কের জটিলতায় ভুগছেন ? আপনি পারিবারিক কিংবা লাভ -লাইফের সঙ্কটে ভুগছেন ? এই সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসতে চান ? এরকম জটিল ক্ষেত্রেও গবেষকদের প্রেসকিপশন হল মন খুলে হাসুন৷ আপনার নিজের সমস্যার কথা ভাবতে -ভাবতেই হাসুন৷ জোরে -জোরে হাসুন৷ প্রথম দিকে অস্বস্তি হবে৷ মনে হবে যে মাথার বুঝি ঠিক নেই৷ কিন্ত্ত পরমুহূর্তে লক্ষ্য করবেন সেই অস্বস্তি কেটে গিয়েছে এবং অকারণে হাসতে ভালো লাগছে৷ ব্যাপারটা বেশ মজার তাই না ?এটা প্রমাণিত সত্য যে হাসি একই সঙ্গে চাপ কমায় এবং যে কোনও ধরনের ব্যাধির সেরা ওষুধ৷ তাহলে অকারণে হাসিকে আমাদের জীবনের অঙ্গ করে নিতে আপত্তি কোথায় ?
কোনও লাফিং ক্লাবেরও সদস্য হতে পারেন ইচ্ছে হলে৷ বা বাড়িতে নিয়মিত একটা নির্দিষ্ট সময় হাসির জন্য রাখুন৷ প্রথম প্রথম অসুবিধে হলে ভালো হাসির কোনও ভালো সিনেমা চালিয়েও দেখতে পারেন৷ এতে সহজেই , মন থেকে হাসি আসবে৷ কিছুক্ষণ এভাবে চলার পর দেখবেন কিছুটা হলেও কষ্ট ভুলতে পেরেছেন৷ তাই মন খুলে হাসতেই থাকুন৷ যতক্ষণ না মন মেজাজ পুরোপুরি ভালো হয়ে যাচ্ছে৷ অকারণে হাসুন , স্রেফ হাসুনকোনও কারণ ছাড়া আপনি কোনও দিন হেসেছেন ? কেউ কোনও রসিকতাও করেননি , অথচ আপনি হাসছেন৷ অনেক মানুষ আছেন যাঁরা সিরিয়াসলি , কারণ ছাড়াই হাসতে চাইছেন শুধু হাসবেন বলেই৷ তাঁরা মনে করেন হাসি হল সব সমস্যার সমাধান৷

ভালোবাসার নতুন ঠিকানা, ককটেল স্পা ও লা-জবাব রসনা!

$
0
0

খাস দক্ষিণ কলকাতায় চারতারা আতিথেয়তার হাতছানি। কর্পোরেট সেমিনার হোক অথবা জাঁকজমকপূর্ণ বিবাহবাসর, স্বাগত জানাতে প্রস্তুত গড়িয়াহাটের বিলাসবহুল র‌্যাডিসন কলকাতা বালিগঞ্জ হোটেল।

২০১২ সালে বালিগঞ্জ ফাঁড়ির কাছে গড়চায় পার্ক প্লাজা হোটেল পত্তন করে মুক্তি গ্রুপ। পাঁচ বছর পার করে গ্রাহকদের এবার আরও উন্নত পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে তাকে নব কলেবরে পরিবেশন করার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেই উদ্দেশ্যে হসপিট্যালিটি ব্যবসায় বিশ্বের অন্যতম সফল সংগঠন কার্লসন রেজিডর গ্রুপের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নেমেছে মুক্তি গ্রুপ, জানালেন মুক্তি গ্রুপের চেয়ারম্যান রাজকুমার গুপ্তা।

'ইয়েস আই ক্যান'। বিশ্বের ১,৪৪০টি হোটেল পরিচালনায় অভিজ্ঞ কার্লসন রেজিডর হোটেল গ্রুপ-এর এই আপ্তবাক্য মাথায় রেখেই ঢেলে সাজানো হয়েছে র‌্যাডিসন-এর অন্দর-বাহির, জানালেন গ্রুপের চিফ একজিকিউটিভ অফিসার (সাউথ এশিয়া) রাজ রানা। মুক্তি গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুক্তি গুপ্তার দাবি, ৯২টি প্রশস্ত ঘরের প্রতিটির অন্দরসজ্জায় যুক্ত হয়েছে আপাদমস্তক নয়া আপহোলস্টারি, ব্র্যান্ডেড ফ্লোরিং এবং হাই স্পিড ওয়াইফাই কানেকশন, হাইটেক অডিও ভিস্যুয়াল পরিষেবা সহ একগুচ্ছ ভ্যালু অ্যাডেড ফিচার্স। নতুন রূপে সেজেছে হোটেলের লবি। যোগ হয়েছে নতুন টি লাউঞ্জ, রুফটপ সুইমিং পুল এবং কমপ্লিমেন্টারি কার পার্কিং পরিষেবা।

বিজনেস ক্লাস রুমগুলিতে রয়েছে কাঠের ফ্লোরিং ও অত্যাধুনিক কর্পোরেট ক্লাস পরিষেবা। বিজনেস ক্লাস অতিথিদের জন্য রয়েছে কমপ্লিমেন্টারি সান্ধ্য ককটেল, ফ্রি বোর্ডরুম, এক্সপ্রেস চেক-ইন ও চেক-আউটের সুবিধা। এছাড়া এয়ারপোর্ট পিক আপ এবং ড্রপ পরিষেবা থাকছে সমস্ত গ্রাহকদের জন্যই। শুধু তাই নয়, গ্রাহকদের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল র‌্যাডিসনে রয়েছে উন্নত মানের ফিটনেস সেন্টার, স্পা এবং বিউটি সার্ভিস।

র‌্যাডিসন কলকাতা বালিগঞ্জ-এর জেনারেল ম্যানেজার শুভ মিত্র জানিয়েছেন, চারতারা এই হোটেলে খানাপিনার অঢেল আয়োজন। পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাতরাশই হল দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আহার। বিষয়টি মাথায় রেখে অতিথিদের জন্য বিশাল ব্রেকফাস্ট স্প্রেড-এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক নানান পদের পাশাপাশি থাকছে বিভিন্ন দেশি পদের বন্দোবস্তও। ভোজনবিলাসীদের তুষ্ট করতে দিনভর খোলা থাকছে মুখরোচক ভারতীয় ও মেডিটার্নিয়ান ক্যুজিন সমৃদ্ধ রেস্তোরাঁ K-19।

অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় খাদ্যবিলাসীদের জন্য রয়েছে রুফটপ রেস্তোরাঁ ও লাউঞ্জ 'স্মোক শ্যাক', যেখানে মিলবে হরেক কিসিমের বারবিকিউ, গ্রিল ও কাবাবের পসরা। লাগোয়া পার্টি হলে রয়েছে ডান্স ফ্লোরের সুবিধা এবং ডি জে ক্লিঙ্ক-এর মনমাতানো সুরের খাজানা। বেকারিজাত রসনায় যাঁরা তৃপ্ত হন, তাঁদের জন্য রয়েছে 'ব্রিউইন', যেখানে রকমারি কেক, প্যাস্ট্রি, স্যান্ডউইচ ও স্যেভরির সঙ্গে পাওয়া যাবে কফি এবং বাছাই করা চায়ের ভ্যারাইটি। যাঁরা নিরিবিলিতে বসে সন্ধ্যের রোমাঞ্চ উপভোগ করতে চান, তাঁদের জন্য রয়েছে ইন-হাউস লাউঞ্জ বার 'নিরভানা'। এখানে পাওয়া যাবে হ্যান্ড-ক্র্যাফটেড ককটেল বৈচিত্র। সঙ্গে থাকছে হরেক রকম লোভনীয় স্ন্যাক্স ও ডেলিকেসির ব্যবস্থা। নিরামিষ ভোজীদের জন্য কিছু দিনের মধ্যেই চালু হচ্ছে সম্পূর্ণ ভেজিটেরিয়ান রেস্তোরাঁ 'ডাল বাটি'।

জমকালো বিয়ে এবং অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্যও আদর্শ ভেন্যু হওয়ার সব রকম ব্যবস্থা রয়েছে র‌্যাডিসনে। এক হাজার জন অতিথিকে স্বাগত জানাতে তৈরি রয়েছে একাধিক সুসজ্জিত ব্যাঙ্কোয়েট ও লাউঞ্জ। আর অবশ্যই রয়েছেন অতিথি আপ্যায়নের খুঁটিনাটিতে বিশেষ নজর রাখতে সদা প্রস্তুত হোটেল কর্মীরা।

সেলিব্রিটিদের ‘নকল’ করে ইন্টারনেটে ভাইরাল এই ইঞ্জিনিয়ার

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: মানুষের ভুল-ত্রুটির ওপর হাসাহাসি করা খুব সহজ। কাউকে দোষারোপ করার মতোই। কিন্তু নিজেকে হাস্যাষ্পদ করে দুনিয়ার লোকেদের হাসানো খুব কঠিন কাজ। নিজের ওপর হাসতে পারার মতো বড় মন লাগে তার জন্য। সকলে পারেন না। ইনি পারেন। কে বলে ইঞ্জিনিয়াররা খুব গুরুগম্ভীর মানুষ হন! এঁকে দেখুন, ধারণা একেবারে পাল্টে যাবে।


কাইল জেনার, ব্রিটনি স্পিয়ার্স, জাস্টিন বিবার, কোনর ম্যাকগ্রেগর, কিম কার্দাশিয়ান কে নেই তালিকায়। আর এঁদের বিখ্যাত কিছু ছবি নিজের মতো করে ‘রিক্রিয়েট’ করেছেন সুল। হ্যাঁ, এই ইঞ্জিনিয়ারের নাম সুল। ইনস্টাগ্রামে তাঁর অ্যাকাউন্ট রয়েছে ‘জাস্ট সুল’ নামে। সেখানেই একের পর এক সেলিব্রিটিদের বিখ্যাত ছবির পাশে নিজের ছবি পোস্ট করেন। আর তাতেই হাসির ফোয়ারা ছোটে। নিজেরাই দেখুন...

 

Rare pic of @kyliejenner before she gave birth (tag @travisscott)

A post shared by Sul (@justsul) on





 

Profile pic vs. Real life @britneyspears

A post shared by Sul (@justsul) on



 

@kimkardashian Thanks to your husband I broke the Internet #AllDayNigga

A post shared by Sul (@justsul) on


'প্রাক্তন'কে কি প্রায়শই স্বপ্নে দেখেন! মানে জানেন?

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: পুরনো প্রেম কি কখনও ভোলা যায়? 'প্রাক্তন' হয়ে যাওয়া একদা প্রিয় মানুষ কেন বার বার ফিরে আসে স্বপ্নে? ব্যাখ্যা করলেন নয়ডার মেট্রো মাল্টিস্পেশ্যালিটি হাসপাতালের মনোবিদ তথা সেক্সোলজিস্ট অবনী তিওয়ারি।

স্বপ্নে যা দেখা যায়, তার স্পষ্ট ব্যাখ্যাও যেমন রয়েছে, তেমনই সাংকেতিক অর্থও থেকে যায়। প্রাক্তন প্রেমিক, স্বামী বা স্ত্রী অথবা ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে স্বপ্নে দেখার পিছনে এমন অনেক গুহ্য মানে লুকিয়ে থাকে।

একদা প্রিয় মানুষটির কথা অবচেতনে স্পষ্ট ছাপ রেখে গিয়েছে বলেই অতীত খুঁড়ে তাকে পাওয়ার ইচ্ছে থেকে যায়। স্বপ্নে তাকে কেন্দ্র করে যে যে অনুভূতি ও আচরণ দেখা যায়, আসলে তা সবই সাংকেতিক অর্থ বহন করে। কখনও সেই চরিত্রটি রূপক হয়ে ওঠে, আবার কখনও বা তার আচরণ বা তার প্রতি অনুভূতি কোনও নির্দিষ্ট চিহ্নের দিশা দেয়।

এমনও হতে পারে, সেই সম্পর্ক বা একদা ঘনিষ্ঠ মানুষটির সঙ্গে কোনও নির্দিষ্ট ঘটনা এখনও আপনার মনে আলোড়ন তোলে। এক কথায়, আপনার জীবনে সেই মানুষটির অভাব আজও প্রকট।

আবার এমনও হতে পারে, সেই মানুষটির সঙ্গে আপনি যা যা করতে চেয়েছিলেন, তা কখনও বাস্তবায়িত হয়নি। সেই আক্ষেপ থেকেই মনের নিভৃত কোণে জমে থাকা ইচ্ছাগুলি স্বপ্নে ডানা মেলেছে। কয়েক সময় সরাসরি না হলেও সেই কল্পনা সংকেতের মাধ্যমে স্বপ্নে ফুটে ওঠে।

প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে কখনও যা করেননি, স্বপ্নে সেই সমস্ত যৌন আচরণ তাঁর সঙ্গে করতে দেখে হয়ত চমকে উঠেছেন। মনস্তাত্ত্বিকদের দাবি, বর্তমান জীবনসঙ্গীর মধ্যে কোনও না-পাওয়া বৈশিষ্ট্য স্বপ্নে দেখা প্রাক্তন প্রেমাস্পদের মধ্যে পেয়ে যাওয়া ব্যক্তিগত সুপ্ত ইচ্ছারই বহিঃপ্রকাশ। আসলে স্মৃতির সঙ্গে প্রকট অভাববোধ মিলেমিশেই এই স্বপ্নিল মুহূর্ত রচনা করে।

এর উল্টোটাও ঘটে। অতীত সম্পর্কের তিক্ত স্মৃতি মনের গভীরে এতটাই রেখাপাত করে যায় যে স্বপ্নেও প্রাক্তন সঙ্গীর দ্বারা অত্যাচারিত হতে দেখা যায়। আসলে মানসিক বিপন্নতার অভিজ্ঞতা যত তীব্র হয়, স্বপ্নে তারই প্রতিফলন ঘটে।

ইচ্ছে হল নেচে নেচে চেলো বাজাই

$
0
0

ইন্দ্রনীল শুক্লা

চেলো বাজানো মানে বাদক চেয়ারে বসে থাকবেন৷ আর ফ্লোরে দাঁড় করানো থাকবে যন্ত্রটি৷ এভাবেই সকলে দেখে অভ্যস্ত চেলো-বাদন৷ কিন্তু ঠিক এই মূলগত জায়গা থেকেই অনেকখানি আলাদা মাইক ব্লক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাসিন্দা এই গ্র্যামিজয়ী চেলো প্লেয়ার৷ তিনি চেলো বাজান গলায় ঝুলিয়ে৷ বাদনের পাশাপাশি অবশ্য গান লেখা, গান করাও তাঁর নেশা৷ সম্প্রতি কলকাতায় এসে অনুষ্ঠানে চেলো বাজাতে বাজাতে ‘রঘুপতি রাঘব রাজারাম’ গেয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন গানের শহরকে৷ মনে হল এই অন্য রকমভাবে চেলো বাজানোর ব্যাপারটা নিয়েই কথা শুরু করা যাক৷ দাঁড়িয়ে চেলো বাজানো, এমন আইডিয়া মাথায় এলো কেমন করে? মাইক বলছেন, ‘আমিই এই ব্যাপারে প্রথম এরকম দাবি আমি করছি না৷ রুশাদ এগলেসটন-ও দাঁড়িয়ে বাজিয়েছেন বহুবার, ইনফ্যাক্ট আমারও আগে থেকে৷ রুশাদকে দাঁড়িয়ে বাজাতে দেখে জানতে চেয়েছিলাম তিনি কার থেকে এটা শিখেছেন৷ উনি জানান, তিনি ১৯৯০ নাগাদ মাইকেল কট’ কে দেখে অনুপ্রাণিত হন৷ আসলে আমি খুব সাফল্যের সঙ্গে টানা ধারাবাহিকভাবে এভাবে বাজিয়ে চলেছি বলেই হয়তো মানুষের আলাদা করে নজর কেড়েছি৷ ’

কিন্তু এভাবে দাঁড়িয়ে বাজানোর প্রয়োজন পড়ল কেন? আলাদা কোনও সুবিধা মিলছে? মাইকের ব্যাখ্যা, ‘অবশ্যই সুবিধা আছে৷ আমি নিজে নিয়মিতভাবে গান-বাজনা শুরু করি নয় বছর বয়স থেকে৷ আমি ছোটবেলায় বেহালা বাজাতাম৷ তখন সেটা বসে যেমন বাজাতে পারতাম তেমনই দাঁড়িয়েও বাজানো যেত৷ ক্রমে একটা বয়সে এসে চেলোর প্রেমে পড়ে গেলাম৷ আরও বড় একখানা বেহালা, এবং শব্দটাও আরও ভারি (হাসি)৷ চেলো বাজাতে শুরু করে খুব এনজয় করলাম ঠিকই কিন্তু কোনও অনুষ্ঠানে কম্পোজিশনের টেম্পো উঠে যাওয়ার পর অন্য বাদকরা যেখানে দাঁড়িয়ে বাজাচ্ছেন, আমায় বসেই থাকতে হল৷ এটায় মন খারাপ লাগলো৷ আগে বেহালা বাজানোর সময় দাঁড়িয়ে বা নেচে বাজাতে পারতাম৷ তখনই মনে হল যদি চেলোটাকে গলায় ঝুলিয়ে নেওয়া যায়৷ ক্রমে বেল্ট, লুপ দিয়ে চেলোকে গলায় ঝুলিয়ে বাজাতে শুরু করলাম৷ এক সময়ে অভ্যেস হয়ে গেল৷’



গ্র্যামি -গুণী এমন খেলার ছলে চেলোকে গলায় ঝুলিয়ে অবলীলায় যিনি বাজাতে থাকেন, বাজাতে বাজাতে গেয়েও ফেলেন, এমন চেলো শিল্পীর প্রিয় চেলো বাদক কারা সেটা জানতে ইচ্ছে হওয়া তো স্বাভাবিক৷ জানতে চাওয়ায় মাইক বলছেন, ‘অবশ্যই ইয়ো ইয়ো মা যিনি এই মুহূর্তে চেলোয় বিশ্বের সেরা শিল্পী৷ মনে আছে, আমার যখন দশ বছর বয়স তখন বাবা-মা আমাকে ইয়োইয়ো মা -র ‘হাস’ অ্যালবাম উপহার দেন৷ তাতে ‘হাস লিটস বেবি’ পিসটা আমার এত্তো প্রিয় যে সেই ছোটোবেলায় শোনা শুরু করেছিলাম৷ এখনও সময় পেলে শুনি৷ ক্ল্যাসিক বোধহয় একেই বলে৷ এখন তিনি আমার গাইড, বন্ধু, ফিলোজফার এটা ভাবতেই খুব বিস্ময় লাগে৷ তাছাড়া রুশাদ এগলেশটন -এর বাজানোর স্টাইলও আমার খুব প্রিয়৷ চেলো বাজাতে বাজাতে গাওয়ার ব্যাপারটায় রুশাদ আমার মস্ত অনুপ্রেরণা৷’ ভারতের কোন কোন বাদ্যযন্ত্র তাঁর ভালো লাগে জেনে নিতে ইচ্ছে হল৷ মাইক বলছেন, ‘অনেক ভারতীয় যন্ত্রই আমি শুনেছি৷ কর্ণাটকী ভায়োলিন ভালো লেগেছে৷ তাছাড়া সেতার, সরোদ এগুলোও ভালো লাগে৷ আসলে নিজে যেহেতু তারের যন্ত্র বাজাই, তাই তারের যন্ত্রই বেশি শোনা হয়েছে৷ তবে তালের যন্ত্রের মধ্যে তবলা শুনি৷ জাকির হুসেনের তবলা, সন্দীপ দাশের তবলা আমার খুব প্রিয়৷’

প্রসঙ্গত, গোল্ডেন বিয়ার সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী আয়োজিত ফিউশন মিউজিকের অনুষ্ঠান মিউজিক ওশিয়ানায় পারফরম্যান্সের জন্য সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন তিনি৷ ভারতে কি এর আগেও ঘুরে গিয়েছেন? মাইক জানাচ্ছেন, ‘নাঃ, এই প্রথমবার ভারতে এলাম৷ কলকাতাও প্রথমবার এলাম বলাই বাহুল্য৷ একবার দিল্লি যেতে হবে৷ আগ্রায় তাজমহল দেখার পরিকল্পনাও অনেকদিনের৷ আসলে আমেরিকায় থাকলেও ভারতের গান-বাজনা থেকে শুরু করে খাওয়া-দাওয়া এমন অনেক কিছুই আমার প্রিয়৷ টিক্কা মশালা কিংবা নবরত্ন কোরমা-র মতো পদগুলো তো রীতিমতো ভালোবাসি৷’ চেলো যন্ত্রটির এমন আকার এবং তা বাজাতে যে রকম অধ্যবসায় লাগে তাতে এর ভবিষ্যৎ কেমন বলে মনে করছেন মাইক? নতুন প্রজন্মের মধ্যে একে নিয়ে উত্সাহ দেখেন? মাইক বলছেন, ‘দেখুন আগে চেলো কেবলমাত্র ক্ল্যাসিকাল কম্পোজিশনের সঙ্গেই মূলত বাজানো হত৷ ফলে এটা বাজানোর জায়গার একটা সীমিত পরিসর ছিল৷ কিন্তু গত পনেরো-বিশ বছর ধরে আমি একটা নতুন ট্রেন্ড লক্ষ্য করছি যে নন -ক্ল্যাসিক্যাল গান-বাজনায়ও চেলো বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে৷ অনেক রক্ষণশীল মিউজিশিয়ানের হয়তো এই ব্যাপারটা ভালো লাগছে না৷ আমার কিন্তু ভালো লাগছে৷ একটা যন্ত্র যত বেশি ভার্সেটাইল হতে পারবে ততই তার সম্ভাবনা বাড়বে বলে আমার মনে হয়৷ তাই শুধু ক্ল্যাশিকাল নয়, নানা সুরে ব্যবহার হোক চেলোর৷ আমি মনে করি নানা ক্ষেত্রে সফলভাবে চেলোকে প্রয়োগ করা সম্ভব৷’

‘টু চেলোজ’ কিংবা ‘দ্য পিয়ানো গাইজ’-এর মতো সাঙ্গীতিক প্রচেষ্টা বা উদ্যোগ কি চেলোকে জনপ্রিয় করে তুলতে সাহায্য করছে? একটু ভেবে মাইক বলেন, ‘দেখুন, আমি বিশ্বাস করি ক্ল্যাসিকাল অঙ্গকে ধরে রাখার পাশাপাশি একটা যন্ত্রের জনপ্রিয়তাও প্রয়োজন, সেটা যন্ত্র এবং তার বাদনের টিকে থাকার স্বার্থেই দরকার৷ খেয়াল করে দেখুন , এই দুটো প্রয়াসেই চেলোকে পপুলার অঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে৷ তাতে যদি বেশি সংখ্যক মানুষের মধ্যে যন্ত্রটার শব্দ ছড়িয়ে পড়ে ভালোই তো৷ যে কোনও কিছুর ক্ষেত্রেই আগে তো পরিচয় প্রয়োজন, ক্রমে তার কোয়ালিটি উন্নয়নে জোর দেওয়া যেতেই পারে৷’ মাইক মনে করেন বাদ্যযন্ত্রকে আত্মস্থ করে নিতে হয়৷ তার যেন কোনও নির্দিষ্ট বাঁধাগত না থাকে বাদনে কিংবা সুরের চলনে৷ যন্ত্রীর খেয়ালের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে থাকবে যন্ত্র৷ তবেই উঠে আসবে সুরের অনায়াস চলন৷ যন্ত্রী আর যন্ত্র-র সমন্বয়ে তৈরি হবে নতুন প্যাটার্ন৷ সকলে তো আর বসে থাকতে চান না৷ মাইক তাই দাঁড়িয়ে পড়তে চেয়েছেন চেলো গলায় ঝুলিয়ে৷ চেলোকে জাপটে ধরে সুরের সিম্ফনিতে তিনি নাচতে চেয়েছেন মঞ্চ জুড়ে৷ তিনিই তো এমন কথা বলতে পারেন!৷

ভার্জিনিয়া -কলকাতা জার্নি, ভায়া লখনউ

$
0
0

পীযূষ আশ

গানবাজনার শখ ছোটবেলা থেকে৷ ৯ বছর থেকে গিটার৷ তারপর জ্যাজের তালিম৷ কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে ভারতীয় সঙ্গীতের সান্নিধ্যে এসে জীবনের মোড়ই ঘুরে গেল মার্কিন মুলুকের ভার্জিনিয়া প্রদেশের বাসিন্দা ম্যাক্স কাটজ-এর৷ ফল, কুড়ি বছর ধরে ভারতে নিয়মিত যাতায়ত৷ পড়ান ভারতীয় মার্গ সঙ্গীত, শেখান সেতার, আর গবেষণার বিষয় লখনউ-এর বাদ্যযন্ত্র৷ ম্যাক্সের ভারত -দর্শন মানে শুধু লখনউ নয়৷ আছে কলকাতাও৷ এই ‘ফুলব্রাইট নেহরু স্কলার ’ প্রায় চার মাস কাটিয়ে গেলেন কলকাতায়৷

লখনউ -এর বাদ্যযন্ত্র নিয়ে গবেষণাসূত্রে এই শহরে আসার উদ্দেশ্য কী? ম্যাক্সের কথায়, ‘লখনউ শাহজাহানপুর ঘরানা নিয়ে গবেষণা করতে হলে কলকাতার প্রসঙ্গ আসে অনিবার্যভাবে৷ এর কারণ অনেক৷ একটা উদাহরণ, নবাব ওয়াজেদ আলি শাহ যখন লখনউ ছেড়ে কলকাতায় চলে আসেন, তখন তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েকজন কোর্ট-মিউজিশিয়ানও এই শহরে পা -রাখেন৷ ফলে দুই শহরের একটা সাঙ্গীতিক যোগসূত্র আরও দৃঢ় হয়৷’ ম্যাক্সের গুরুও থাকেন কলকাতায়৷ বিশিষ্ট সরোদিয়া ইরফান খান৷ খান সাহেবের পূর্বপুরুষ একসময় লখনউতে ছিলেন৷ বংশপরম্পরায় লখনউ ঘরানার সঙ্গীত ইতিহাসের পাতায় যাঁরা আছেন , তাঁদের কথা গল্পের মতো করেই বলে দিতে পারেন খান সাহেব৷ ফলে কলকাতা থেকেই লখনউ গবেষণায় কোনও অসুবিধা হয়নি ম্যাক্সের৷ আর ডাল-ভাত-মাছের ঝোলের সঙ্গেও মানিয়ে নিয়েছেন দিব্যি৷



তাঁর মতে, মিষ্টি দই কলকাতার একটা উল্লেখযোগ্য বিষয়! ‘কুড়ি বছর ধরে আমেরিকা থেকে ভারতে আসছেন, এদেশের ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য কিছু বলতে হলে কি শুধু মিষ্টি দইয়ের কথাই বলবেন?’ হালকা মেজাজে এই প্রশ্নটা করা হলেও, জবাবটা এল বেশ ভেবেচিন্তে, অন্তর থেকে৷ ‘দেখুন, ইউরোপ-আমেরিকা থেকে ভারতে যাঁরা আসেন, বিশেষ করে পর্যটক হিসেবে, তাঁদের কাছে অনেক কিছুই অবাক করা মনে হতে পারে৷ তাঁরা সেগুলোই মজার অভিজ্ঞতা হিসেবে বলে বেড়ান৷ আমি কুড়ি বছর ধরে এ -দেশে আসছি৷ ফলে আমার ভারত দেখার চোখ, আর পাঁচজন ট্যুরিস্টের মতো নয়৷ অন্যের কাছে যা বিস্ময় উদ্রেক করে, অস্বাভাবিক মনে হয়, সেটা আমার কাছে নয়৷ সেই রীতিনীতি বা ঘটনার নেপথ্যে কী, ব্যাখ্যাটা কেমন, আমি এখন জানতে-বুঝতে শিখেছি৷ ফলে ট্যুরিস্টদের মতো ভারত বেড়ানোর অ্যানেকডোট আমার কাছে পাবেন না৷ তবে দু’টো ঘটনার উল্লেখ করতে পারি৷

এক, গঙ্গোত্রী যাওয়ার পথে বাসযাত্রার অভিজ্ঞতা৷ কোনও কারণে বাসের উইন্ডশিল্ড খুলে গিয়েছিল৷ বাসের সামনেটা পুরো ফাঁকা৷ তেড়ে বৃষ্টি হচ্ছে৷ বরফ ঠাণ্ডা জল৷ ড্রাইভার বাস চালাচ্ছেন৷ আরেকজন পাশে বসে স্টিয়ারিং হুইলের সামনে ছাতা খুলে আটকাচ্ছেন বৃষ্টির জল৷ পাহাড়ি পথে অন্য কোথাও এভাবে বাস চালানো হত কি না আমি জানি না! দ্বিতীয় অভিজ্ঞতা রাজস্থানে৷ পুষ্কর গিয়েছি৷ সেখানকার মেলা সম্পর্কে জানতাম না৷ সেখানে গিয়েছি মেলা শুরু হওয়ার আগের দিন৷ পরদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি গোটা শহর মানুষ আর উটে ভরে গিয়েছে৷ আমার কাছে ব্যাপারটা ম্যাজিকাল মনে হয়েছিল৷ যেন কোনও জাদুতে এক শহরের জনসংখ্যা দশগুন বেড়ে গিয়েছে৷ আর একটা বিষয় না বললেই নয়৷ ভারতীয়দের আতিথেয়তা আর উদারতা৷ আমার ভারতবাসের প্রথম কয়েকটা মাস সাধারণ মানুষের আতিথেয়তায় ভর করেই তো দিন কাটিয়েছি৷ ’ বললেন ম্যাক্স৷ ভারতীয় মার্গসঙ্গীত নিয়ে তাঁর একটি বই ইতিমধ্যেই প্রকাশিত৷ আরেকটি বইয়ের কাজ চলছে৷ বাদ্যযন্ত্র নিয়ে গবেষণা সেই সূত্রেই৷ আর সেই বইয়ের উপাদান সংগ্রহে শুধু যে পণ্ডিত উস্তাদদের কাছে গিয়েছেন তা নয় , লখনউ -এর অলিগলি কিংবা উলুবেড়িয়ার প্রত্যপ্ত গ্রামে গিয়ে, সেখানকার বাদ্যযন্ত্র তৈরির কারিগরদের সঙ্গেও কাটিয়ে এসেছেন দিনের পর দিন৷ এই প্রতিবেদন যখন পাঠকদের হাতে, তখন ম্যাক্স মার্কিনমুলুকে৷ দিন গুনছেন পরের দফায় এদেশে আসার জন্য !

দাদা -বউদির বাস

$
0
0

নিমতা হাওড়া রুটে ছোটে এক মিনিবাস। চালক স্ত্রী, কন্ডাক্টর স্বামী। লিখছেন সুমিত দে

দোল -হোলিতে বেলা বাড়তেই , দাদারা কি বাস চালানো বন্ধ করে দেবেন ? দিলেও , সেই কারণে কিন্ত্ত কোনও মতেই বন্ধ থাকবে না বউদির বাসযাত্রা৷ ‘দাদা -বউদি ’র বাস৷

স্ত্রী মিনিবাস ড্রাইভার , স্বামী একই বাসের কন্ডাক্টার ! প্রতিদিন সকাল -বিকেল ২৭ সিটের বাসে নিমতা -হাওড়া রুটে, যাত্রী নিয়ে ছুটে বেড়ান কত্তা -গিন্নি শিবেশ্বর এবং প্রতিমা পোদ্দার৷ প্রতিমা যখন স্টিয়ারিং সামলান , শিবেশ্বর তখন সজাগ চোখে যাত্রীদের প্রশ্ন করেন , ‘দাদা টিকিট? দিদিভাই টিকিটটা?’ একই সঙ্গে সচেতন চোখ থাকে স্ত্রীর প্রতিও৷ অন্য পুরুষ -ড্রাইভাররা তাঁদের বাস ওভারটেক করলে , স্ত্রী যদি বাসের গতি একটু বাড়াতে যান , তখনই স্ত্রীর প্রতি ধেয়ে আসে স্বামীর সতর্কবার্তা, ‘একদম নয়৷ ওকে ওভারটেক করতে দাও৷ তুমি আস্তে চালাও৷ ’

প্রতিমার কথায় , ‘কী বলি ? দুই মেয়ে নিয়ে সংসার করতে গিয়ে মেয়ে দুটো বড় হয়ে গেল , অথচ বাসাতেও যদি কিছু ভুল করি সেখানেও বরের বকা , আবার বাসেও তাই৷ ’ বলতে গিয়ে হেসে ফেললেন বছর বিয়াল্লিশের কলকাতার মহিলা মিনিবাস -চালক প্রতিমা৷ স্বামী -স্ত্রীর এমন সুন্দর সম্পর্কের বাসে বছর ছয়েক ধরে যাতায়াত করতে করতে , আজ যাত্রীমুখে হাওড়া -নিমতা রুটের ১৮৫৪ নম্বর মিনিবাসটির নামই হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘দাদা -বউদির বাস৷ ’কিন্ত্ত কীভাবে ঘটল এমন ঘটনা ? প্রতিমার কথায় , ‘এটা একমাত্র সম্ভব হয়েছে স্বামীর উত্সাহ আর উদ্দীপনায়৷ নয়তো স্বপ্নেও ভাবিনি , বাস চালাব ! ১৯৯৪ সালে যখন ওকে ভালোবেসে বিয়ে করে শ্বশুর -ঘর করতে এলাম , তখন সবে মাধ্যমিক পাশ করেছি৷ ওর চেষ্টাতেই এরপর উচ্চ -মাধ্যমিক পাশ করি৷ তখন কী বলব , অভাবই ছিল আমাদের নিত্যদিনের একমাত্র সঙ্গী৷ ’প্রতিমার কথায় , ‘২০০৬ হবে৷ ও তখন বিধাননগরে একটা বেসরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালাত৷ আমরাও তখন ওখানেই থাকতাম৷ সেই সময় ও জেদ ধরল , আমাকে গাড়ি চালানো শেখাবে৷

বুঝিয়ে বলত , কোনও কাজই ছোটো নয়৷ আমরা দুজনেই যদি গাড়ি চালাতে জানি , তা হলে ভবিষ্যতে কিছু একটা ভালো হবেই৷ সেই থেকেই ওর অনুপ্রেরণায় আমার গাড়ি চালানো শেখা৷ এরপর ২০০৮ নাগাদ একটা পুরনো ট্যাক্সি কিনি৷ দুজনেই পালা করে চালাতাম৷ প্রথম তো আমি ট্যাক্সিই চালাই৷ ’ হাসিমুখে জানালেন প্রতিমা৷ ‘পরের বছর একটা পুরনো বাস কিনি৷ কিন্ত্ত সমস্যার কারণে ওটা বেচে , ধার -দেনা করে ২০১০ সালে এই নতুন বাস কেনা৷ জানেন , প্রথমদিকে আমি চালাতাম না৷ ও চালাত , আমি কন্ডাক্টারি করতাম৷ কিন্ত্ত ২০১২ সালে একটা অ্যাক্সিডেন্টে ওকে ঘরে বসে যেতে হয়৷ এরপর ও একটু সেরে উঠতে , আমি স্টিয়ারিঙে বসলাম৷ ’মহিলা বাসচালক দেখে স্ট্যান্ডে অন্য পুরুষ -চালক , যাত্রীদের প্রথম প্রথম কোনও সমস্যা হয়নি ? ‘হয়নি আবার ! ওদের ইগোয় খুব লেগেছিল৷ যার জন্য আমাদের বাস নিয়ে সার্টার খুব ঝামেলা করত৷ তবে এখন আর করে না৷ সকলেই ভালোবাসে৷ আর প্যাসেঞ্জারদের কথা ? ওদের চোখ -মুখ দেখে আমারই হাসি পেয়ে যেত৷

কারণ , প্রথমে বেশ বাসে উঠলেন , তারপর যে-ই দেখলেন স্টিয়ারিঙে মহিলা , পড়িমরি বাস থেকে নেমে রাস্তায় দাঁড়িয়ে এমনভাবে আমায় দেখছেন , যেন সিনেমা হচ্ছে !’ বলেন প্রতিমা৷

আজ অবশ্য কেউ হাসেন না , অবাক হন না , ‘দাদা -বউদির ’ বাস দেখে৷ নিমতা -বেলঘরিয়া -ডানলপ -শ্যামবাজার -জোড়াবাগান -বড়বাজার হয়ে হাওড়ায় প্রতিদিন সকাল -বিকেল পাঁচ -ছয় ট্রিপে ছুটে বেড়ায় তাঁদের বাস৷ কোনও পুলিশি সমস্যা …প্রশ্ন শেষ হওয়ায় আগেই হেসে ফেলেন প্রতিমা৷ ‘এই তো সেদিনই ‘রবীন্দ্র ভারতী ’র সামনে ধরল৷ কারণ নাকি খুব আস্তে চালাচ্ছি , তাই তিনশো টাকা ফাইন দিতে হবে ! তারপর নিজেই বলল , ‘ঠিক আছে মহিলা যখন , একশো দিন৷ ’ মহিলা হিসেবে দুশো টাকা বাঁচালাম৷ ’ আর পাড়া -প্রতিবেশী ? তাঁরা কী চোখে দেখেন ব্যাপারটা ? প্রতিমার কথায় , ‘পাড়ার সকলে আমাদের খুব ভালোবাসেন৷ উত্সাহ দেন৷ ’দাদা -বউদির সংগ্রামী জীবনে তাঁদের একমাত্র স্বপ্ন আজ শুধুমাত্র দুই মেয়েকে ঘিরে৷ বাবা -মায়ের অনুপ্রেরণায় এগিয়েও চলেছে দুই বোন রাখী আর সাথী৷ বড় রাখী সব কটা বিষয়েই লেটার পেয়ে মাধ্যমিক , উচ্চ -মাধ্যমিক পাশ করে , এখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি থার্ড ইয়ারের ছাত্রী৷ ছোট সাথী প্রথম হয়ে ক্লাস নাইনে উঠেছে৷ দুই বোনই চালাতে শিখে নিয়েছে চার -চাকা৷ পোদ্দার -পরিবারের একটাই প্রার্থনা , কোনও সরকারি বিভাগে , কোনও মহিলা মন্ত্রীর মহিলা ড্রাইভার হিসেবে মা -মেয়ের একটা চাকরির ব্যবস্থা কি করা যায় না ?


'কলকাতার ষাটোর্ধ্ব মহিলারা দিল খুলে সাজুন'

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক

আট থেকে আশি-- আমরা সবাই সাজতে ভালবাসি। নিজেকে ভালো দেখাক তা আমরা সবাই চাই। কমপ্লিমেন্ট পেতে কার না ভাল লাগে। আর পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত ,আশ মিটিয়ে সাজগোজ করলে মন ভাল থাকে।
সুস্থ থাকতে দেহ মন দুই ভাল রাখা জরুরি। সবাইকে আরও সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে পূর্ব ভারতে তথা কলকাতায় তাদের প্রথম আউটলেটটি খুলল বিউটি প্যালেস।

এখানে এক ছাদের তলায় আপনি পেয়ে যাবেন আপনার মনের মতো প্রসাধন সামগ্রী। শুধু সামগ্রী নয়, ফেসিয়াল থেকে স্পা আছে সবের সুযোগ।
শুধু মাত্র ভারতেই আটকে থাকেনি এই রিটেল স্টোর। আফ্রিকা, নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কাতে রয়েছে তাদের শাখা। সংস্থার চেয়ারম্যান ইরফান ভামলা বললেন কলকাতার মহিলারা এমনিতেই সুন্দরী। বর্তমানে কলকাতার ফ্যাশন মার্কেটের চাহিদাও তুঙ্গে। মানুষের উৎসাহ বেড়েছে সাঁলোতে। আর ভারতের মধ্যে একমাত্র কলকাতাতেই নাকি ষাটোর্ধ্ব মহিলারাও দিল খুলে সাজগোজ করেন।


ফেস্টিভ্যাল অনুযায়ী থাকবে অফারও। কলকাতাবাসী শুনলেন তো?

ভেন্টিলেটরে লোকশিল্প

$
0
0

অবিভক্ত বাংলার লোকশিল্পের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাদুঘর গুরুসদয় মিউজিয়াম মৃত্যুমুখে৷ অসরকারি সংস্থা ধুয়ো তুলে কেন্দ্রীয় অনুদান বন্ধ৷ বিরক্ত বিদ্বজ্জনেরা৷ বিকল্প ভবিষ্যত কী? খোঁজ করলেন পীযূষ আশ। ছবি অতনু বিশ্বাস

'এখানে যা সাজানো দেখছেন, তার দশগুন বেশি জিনিস রয়েছে আমাদের সংগ্রহে৷ এগুলোরই ভবিষ্যত কী হবে জানা নেই৷ কয়েকদিন পর মিউজিয়ামে আলো জ্বালানোর টাকা থাকবে না৷ সুতরাং...'

সুতরাং, কালীঘাট পেন্টিং-এর সবচেয়ে বড় সংগ্রহ অনিশ্চয়তার মুখে৷

সুতরাং, অবিভক্ত বাংলার লোক শিল্পের সবচেয়ে বড় সংগ্রহ অনিশ্চয়তার মুখে৷

সুতরাং, বাঙালির ইতিহাসের অনেকগুলো পাতা মুছে যেতে চলেছে, চিরকালের মতো৷ সম্ভবত এতে কোনও অনিশ্চয়তা নেই৷ আশঙ্কাটা সত্যি৷

গুরুসদয় সংগ্রহশালা৷ এশিয়ার সর্ববৃহত্ লোকশিল্পের মিউজিয়াম৷ আর উপরের কথাগুলো যিনি বলেছেন তিনি মিউজিয়ামেরই এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি বিজন কুমার মণ্ডল৷ তাঁর কথা অনুযায়ী ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষেও কেন্দ্র থেকে মিউজিয়াম পরিচালনা এবং কর্মীদের বেতন বাবদ প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছিল৷ গত বছর আগস্ট মাসে বস্ত্রমন্ত্রকের অতিরিক্ত কমিশনার মিউজিয়াম পরিদর্শনে আসেন৷ সংগ্রহশালার সমস্যা, উন্নয়নের নানা দিক নিয়ে আলোচনাও হয়৷ কিন্ত্ত বছরের শেষ দিকে প্রায় বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো অনুদান বন্ধের খবর আসে৷ মিউজিয়ামের তরফে প্রধানমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেল-এ চিঠি পাঠানো হয়৷ বিজনবাবুর বক্তব্য, প্রথমে খতিয়ে দেখার আশ্বাস, পরে পুরো বিষয়টি ঠেলে দেওয়া হয় বস্ত্র মন্ত্রকের দিকে৷ আর গত বছরেরই ২৯ নভেম্বর তারিখের চিঠিতে বস্ত্র মন্ত্রক জানায়, তারা মনে করে গুরুসদয় মিউজিয়ামকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে হবে৷ অতএব আর্থিক সহায়তার চুক্তি রদ করা হচ্ছে৷

মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এই সংগ্রহশালা অসরকারি এই ধুয়ো তুলে অনুদান বন্ধ করা হল৷ অথচ ১৯৮৪ সালের ২৩ মে যে চুক্তি হয়, তা স্বাক্ষরিত হয় তত্কালীন ভারতের রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি এবং 'বেঙ্গল ব্রতচারী সোসাইটি'র মধ্যে৷ এভাবেই আইসিএস গুরুসদয় দত্তর লোকশিল্পের ব্যক্তিগত সংগ্রহ মিউজিয়ামের অধীনে রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ হয়৷ আর্থিক অনুদানের দায়িত্ব নেয় কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রক৷ হঠাত্ আর্থিক সহযোগিতার চুক্তি রদ হওয়ায় লোকশিল্পের এই দুর্লভ সম্ভারের ভবিষ্যত কী, তা পুরোপুরি অন্ধকারে৷ পাশাপাশি এই মিউজিয়ামে মোট ১৩ জন কর্মী রয়েছেন৷ ১০ জন স্থায়ী কর্মী, বাকিরা অস্থায়ী৷ সরকারি অনুদান বন্ধ হওয়ায়, বেতন বন্ধ তাঁদেরও৷ পাশাপাশি সংগ্রহশালার একটি গ্রন্থাগারও রয়েছে৷ তাতে রয়েছে সাত হাজার বই৷ লোকশিল্পের ছাত্র-গবেষকরা নিয়মিত এই গ্রন্থাগারের সাহায্য নেন৷ দিন কয়েক পর থেকে সেই সুযোগও বন্ধ হতে চলেছে৷ বিজনবাবুর বক্তব্য, 'আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সময় চেয়েছি৷ তাঁকে আমাদের সমস্যার কথা জানাতে চাই৷ দেখা যাক কী হয়৷'

বিদ্বজ্জনের মত

এটা লজ্জার কথা গুরুসদয় মিউজিয়াম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে৷ এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় মিউজিয়াম৷ কেন্দ্র এবং রাজ্য---দুই সরকারেরই সহযোগিতা করা উচিত৷ এই ঘটনায় আমারই লজ্জায় মাথা নত হয়ে যাচ্ছে৷ আমাদের অগ্রাধিকার কোনগুলো? অকাজে অর্থ ব্যয় করব, নাকি মিউজিয়াম রক্ষা করব!

পবিত্র সরকার, শিক্ষাবিদ

আমি একটি বইয়ের ব্যাপারে গুরুসদয় মিউজিয়ামের সহযোগিতা নিয়েছিলাম৷ তখনই বুঝতে পেরেছিলাম এই মিউজিয়ামের সম্ভার কী অসাধারণ৷ এটা আমার লজ্জা, এটা আমার গ্লানি যে এই মিউজিয়াম বন্ধ হতে চলেছে৷ কেন্দ্র এবং রাজ্য কেন যে এই মিউজিয়াম বাঁচাতে অবিলম্বে ঝাঁপিয়ে পড়ছে না, এটা অবিশ্বাস্য৷

শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, চিত্র সমালোচক

বিকল্প রাস্তা আছে কি?

গুরুসদয় মিউজিয়াম বন্ধ হয়ে যাবে এটা কখনই কাম্য নয়৷ মিউজিয়ামের অধিকর্তারা যদি মিনিস্ট্রি অফ কালচার-এর সহযোগিতা চান, এবং মন্ত্রক যদি রাজি হয়, তবে নিশ্চয়ই একটা সুরাহা হতে পারে৷ তবে নিয়ম হল, মন্ত্রক যদি ১০০ টাকা অনুদান দেয় ২০ টাকা গুরুসদয় মিউজিয়ামকে দিতে হবে৷ ফলে, রাজস্ব সংগ্রহের রাস্তা দেখতে হবে গুরুসদয় মিউজিয়ামকে৷ আমি ব্যক্তিগতভাবে এটুকু আশ্বাস দিতে পারি, যদি ওঁদের সংগ্রহ 'থ্রু প্রপার চ্যানেল' আমাদের কাছে আসে, সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ এবং প্রদর্শনের ব্যবস্থা আমরা করব৷ ব্যক্তিগতভাবে এটা মনে করি, রাজ্য সরকার যদি এই মিউজিয়াম অধিগ্রহণ করে, তাহলে খুবই ভালো হয়৷ এই মিউজিয়ামের পরিবর্ধন এবং উন্নয়নের জন্য আমরা অবশ্যই সাহায্য করব৷ মিউজিয়ামের কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করতে পারি আমরা৷

রাজেশ পুরোহিত, অধিকর্তা, ভারতীয় জাদুঘর

একনজরে গুরুসদয় সংগ্রহশালা

৯০৬ ছবি (কালিঘাট পেন্টিং, দশাবতার তাস ইত্যাদি)

৪৪ মূর্তি (আছে দূর্গা-বুদ্ধ মূর্তি, দশম থেকে বারশো শতাব্দীর)

১৯৮ কাঠের কাজ (দুই বাংলার লোকশিল্পের নিদর্শন)

৪১৯ পুতুল (মেদিনীপুর, ২৪ পরগনা, বর্ধমান, কলকাতা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর ও কুমিল্লার)

৭০০০ বই (লোকশিল্প, লোকগান সংক্রান্ত গবেষণার উপযোগী গ্রন্থাগার)

২১০ কাঁথা, ৭৭ মৃত্পাত্র, ৬২ পুঁথি, ১৩৪ কাঠের বাসন


দুই বাংলার হাট বসছে তিন দিন, ক্রিয়েট- কেতায় বিকিকিনির পক্ষ নিন!

$
0
0

রেশমী প্রামাণিক

ধরুন, আপনি ভেবেছিলেন এ মাসে স্যালারি হলে সুন্দর একটা হ্যান্ডলুমের শাড়ি কিনবেন। পরপর বেশ কয়েকটি বিয়েবাড়ি রয়েছে। এদিকে স্বমহিমায় গরম এসে হাজির হয়েছে। কিন্তু বন্ধুর বিয়েতে একটু হটকে তো সাজতেই হবে। কাজ- অকাজে প্রায় প্রতিদিন অফিস থেকে ফিরতে দেরি হচ্ছে। অতএব কেনাকাটায় ভাটা ? একেবারেই না। আসছে দুই বাংলা হাট বাজার।

আপনাদের সবার কথা মাথায় রেখে এরকম অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে কাফে কবীরা। আগামী ১৫ ১৬ ১৭ ই মার্চ কলেজ স্কোয়ারের মহাবোধি সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার হলে অনুষ্ঠিত হবে এই হাট । গত নভেম্বরে কোলকাতা টিশার্ট মেলা সফল হবার পর টিম কবীরা ভাবছিল কি ভাবে দুই বাংলাকে মেলানো যায়। সেই ভাবনা থেকেই দুই বাংলার হস্তশিল্প শাড়ি, কুর্তি, গয়না, টি শার্টের সম্ভার নিয়ে আসছে হাট বাজার। থাকছে কলকাতার বুটিক, বাংলাদেশের বিখ্যাত ব্র্যান্ড 'নিত্য উপহার'। চলবে সংস্কৃতির আদানপ্রদান। কেনাকাটার সঙ্গে থাকবে খুচখাচ মুখ চালানোর ব্যবস্থাও। খোলা থাকছে দুপুর ১২ টা থেকে রাত ৮.৩০ পর্যন্ত।

কাজেই এবারে কিন্তু আর মিস নয়। শাড়ি কিনুন। ম্যাচ করে গয়না, ব্যাগও কিনে ফেলুন। কেত মেরে ব্লাউজ বালাতে দিয়ে দিন টেলরকে। আর... বন্ধুর যদি আপনার মত হ্যান্ডলুম প্রেম থাকে তাহলে তার বিয়ের উপহারও এখান থেকে নিতে পারেন। সুযোগ কিন্তু বারে বারে আসে না।

পুনশ্চ- কোলকাতার পর হাটে বাজারে অনুষ্ঠিত হবে বর্ধমান, শিলিগুড়ি, বহরমপুর , আগরতলাতেও।

ঘাড়ে নিয়ে মেলায় ঘুরতো জাকির ভাই

$
0
0

ঝটিতি সফরে কলকাতা ঘুরে গেলেন পারকাশনিস্ট উস্তাদ তৌফিক কুরেশি৷ আব্বা , জাকির ভাই , তবলা থেকে জেম্বে যাত্রা -সহ নানা প্রসঙ্গে কথা বললেন৷ শুনলেন ইন্দ্রনীল শুক্লা

উস্তাদজি ওই গলির ভিতরে দেওয়ালটায় পিঠ করে দাঁড়ান , তাহলে কাগজের জন্য ছবিটা ভালো হবে । ফটোগ্রাফারের আবদারে বিনা বাক্যব্যয়ে ঢুকে পড়লেন উত্তর কলকাতার এক স্যাঁতস্যাঁতে গলিতে৷ বললেন , ‘সব করে দেব৷ শুধু উস্তাদজি বললেন না প্লিজ , অস্বস্তি লাগ
উস্তাদ আল্লারাখ্খা কুরেশির ছেলে , উস্তাদ জাকির হুসেনের ভাই৷ কিন্তু সেই বাড়ির ছেলে হয়েও বাজনায় এবং মেজাজে তিনি একটু আলাদা৷

শুরুয়াত
‘আমার শিক্ষা শুরু হয়েছিল বেশ খানিকটা দেরিতেই৷ এর পিছনে কারণও আছে৷ আমার মা বলেছিলেন , বাড়িতে তো বেশ কয়েকজন তবলাবাদক রয়েছেন , ছোট ছেলেটা অন্তত একটু পড়াশোনার করুক৷ তাই তবলা থেকে দূরেই সরিয়ে রাখা হয় আমাকে৷ কিন্ত যত ক্লাস এগোতে লাগল ততই আমার রিপোর্ট কার্ডে লাল দাগ বাড়তে শুরু করল৷ সেসব দেখেশুনে আব্বা মায়ের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলতে বসলেন৷ বোঝালেন ‘দেখো গিন্নি , যে গোত্রের গাছ , তাতে সেই ফলই হবে৷ ছেলেটার রেজাল্ট যা দেখছি , তাতে ওকে তবলা শেখানো শুরু করে দেওয়া উচিত৷ পড়ায় বেশি জোর দিয়ে অযথা সময় নষ্ট হচ্ছে৷ ’ সেই সিদ্ধান্ত নিলেন উস্তাদ আল্লারাখ্খা কুরেশি৷ আমার শিক্ষা শুরু হল৷ তবে অন্যদের মতো চার -পাঁচ বছরে নয় , বারো বছর বয়স থেকে৷ ’

আব্বা
‘সেদিন যে উনি আমায় পড়াশোনার প্রেসার থেকে সরিয়ে তবলার সামনে বসিয়ে দিয়েছিলেন , এ এক মস্ত আশীর্বাদ৷ মানসিক শান্তি ফিরল আমার৷ তবে রেওয়াজ শুরুর পর উনি কড়া ডিসিপ্লিনের মানুষ ! দিনের মধ্যে আট ঘণ্টা বাজাতেই হবে৷ তাই স্কুলে যাওয়ার আগে , স্কুল থেকে ফিরে , ঘুমোতে যাওয়ার আগে , আমি সময় ভাগ করে করে বাজাতাম৷ আমাদের বাড়িটাই এমন ছিল যে চাইলেও কেউ তবলা না শুনে থাকতে পারবে না৷ একদল ছাত্র তবলা বাজিয়ে বেরিয়ে পড়ল , আরও একদল ঢুকল৷ ভোর থেকে তালের শুরু, চলবে মাঝরাত পর্যন্ত৷ ’

বাডি রিচ -এর ড্রাম
‘বিখ্যাত ড্রামার বাডি রিচের সঙ্গে একটা ফিউশন রিদম অ্যালবাম করেছিলেন আব্বা৷ এই প্রথম আমি জীবনে ড্রামের আওয়াজ শুনলাম৷ আমার চেনা যাবতীয় রিদম ইনস্ট্রুমেন্টের থেকে আলাদা৷ রোজ দু’তিনবার করে রেকর্ডটা শুনতাম৷ কেমন করে এই শব্দটা তৈরি হয় কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না৷ তারপর আব্বা -ই একদিন যন্ত্রটার বেসিকটা শিখিয়ে দিলেন৷ বললেন , ডাব্বার খোলা মুখে চামড়া লাগিয়ে স্টিক দিয়ে বাজাতে হয়৷ তারপর আমি লেগে পড়লাম কেমন করে ওই আওয়াজটার কাছাকাছি শব্দ তৈরি করা যায়৷
ছোটো বালতি , বড় বালতি , কৌটো এরকম সব জিনিস সাজিয়ে কখনওও বাঁশের কঞ্চি কখনও ঝাঁটার কাঠি দিয়ে বাজানোর চেষ্টা করে গিয়েছি৷ অন্য অন্য যন্ত্রে রিদম বাজানোর চিন্তা সেই থেকেই ঘুরেছে মাথায়৷ তবে সঙ্গে তালিম নিয়েছি তবলা -র৷ ’

ঋণ পঞ্চম
‘এই একটা গান , ‘দুনিয়া মে লোগো কো ’৷ উফ রিদম , পারকাশনের খেলা দেখে পাগল হয়ে গিয়েছিলাম৷ আর বিশেষ করে শ্বাস -প্রশ্বাসের ব্যবহার করে ছন্দ ধরে রাখা৷ ভাবা যায় না ! রাহুল দেব বর্মণের কাছে আমি ঋণী৷ আমার এক বন্ধুর সঙ্গে পঞ্চমদার আলাপ ছিল৷ ওকে খুব করে ধরলাম , ভাই একটু দেখা করিয়ে দে৷ একদিন দেখা করার দিন স্থির হল৷ আরডি রেকর্ডিং স্টুডিও -র ভিতর ছিলেন৷ বেরিয়ে এলেন৷ ওঁকে জানালাম যে ‘দুনিয়া মে ’ গানে শ্বাসের ব্যবহারটা অসাধারণ লেগেছে৷ আমি কথাটা বলার আগে দ্বিধায় ছিলাম , কে জানে উনি কেমনভাবে নেবেন৷ ওমা , উনি তো জড়িয়ে ধরলেন৷ বললেন , ‘আরে তুমি তো দারুণ ছেলে৷ সকলে আমায় এই সুরটা ভালো হয়েছে , ওই গানটা দারুণ লেগেছে এসব বলতে আসে , আর তুমি ব্রিদিং টেকনিকটার কথা বলতে এসেছ !’
উনি তারপর আমাকে একপাশে নিয়ে এসে আরও চার -পাঁচ রকমের ব্রিদিং টেকনিক দেখিয়ে দিলেন যাতে আলাদা আলাদা রিদম তৈরি হচ্ছে৷ আমি যে আমার পারকাশনের অঙ্গ হিসেবে ব্রিদিং ব্যবহার করি , তার একটা অংশ পঞ্চমদা ’র থেকে শেখা৷ ’

ক্রমে পারকাশন
‘প্রভাবগুলোর কথা তো বললামই৷ অন্য রকম রিদম বাজানোর জন্য আমি ছটফট করছিলাম৷ আমি কিন্ত্ত দশ -বারো বছর একটানা তালিমের পর তবলা বেশ ভালোই বাজাতে শুরু করে দিয়েছিলাম৷ ভারতের বেশ কয়েকজন বড় -সড় শিল্পীর সঙ্গে সঙ্গতও করে ফেলেছি তখন৷ সারাদিন নানা ছবির রেকর্ডিয়ের জন্য স্টুডিওয় কাটিয়ে দিয়েছি এমনও হয়েছে৷ কিন্ত মনে হল তবলায় যা শিখেছি , তা অন্য যন্ত্রের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করা দরকার৷ সেই লক্ষ্যে অন্য দেশের বাদ্যযন্ত্রের দিকে ঝুঁকি৷ আফ্রিকার জেম্বে যন্ত্রটা আমার প্রিয়৷ বাজাতে শুরু করি৷ বাবাকে বলি ইচ্ছের কথা৷ উনি প্রাথমিকভাবে অখুশি ছিলেন৷ অনেককে আড়ালে বলেনও , একজোড়া চমৎকার তবলার হাত স্রেফ নষ্ট হতে বসেছে৷ তবু নিমরাজি হয়ে বলেন , ‘যো ভি বাজাও , মেরি ছাপ রহেনা চাহিয়ে৷ ’ তার অনেক বছর পর উনি একটা কনসার্টে আমার বাজনা শোনেন৷ এবার মাকে খুশি হয়ে বলেন , ‘আরে ও তো ওই যন্ত্রটায় আমার থেকে যা শিখেছে সেটাই বাজাচ্ছে৷ ’ এটা জানতে পারার পর আমার মনে হয় , যা করতে চাইছিলাম সেটা পেরেছি৷ ’

জাকির ভাই
‘ও আমার চেয়ে বারো বছরের বড়৷ কে বলবে দেখে ? আমার থেকে ছোট মনে হয় , এত এনার্জি! আমরা দু’জনই ব্যস্ত মিউজিশিয়ান৷ নিয়মিত দেখা হয় না৷ আমাকে দেখে ক’দিন আগেই বলছিল , ‘এ কী রে ভাই , তুই তো বুড়ো হয়ে গিয়েছিস৷ সব চুল পাকা৷ কলপ কর৷ ’ ও আমায় খুব ভালোবাসে৷ ছোটবেলা থেকেই৷ আমাদের বাড়ির কাছে একটা মেলা হত৷ আমি যাতে হারিয়ে না যাই , ঘাড়ে বসিয়ে নিয়ে মেলায় ঘুরতো৷ ও -ই কিন্ত আমায় প্রথম বঙ্গ কিনে দিয়েছিল , আমার ইন্টারেস্ট দেখে৷
বড় হওয়ার পর আমরা একসঙ্গে সিনেমা দেখতাম৷ হলিউডের ছবি আমাদের পছন্দ৷ বারকয়েক একসঙ্গে ‘ম্যাকেনাস গোল্ড ’ দেখেছি৷ এখন আমাদের দেশে ওকে নিয়ে আর সিনেমা দেখার কথা ভাবা যায় না৷ ‘মব্ড্ ’হয়ে যাবে৷ কিন্ত আমেরিকায় কিছুদিন আগে আমরা একসঙ্গে ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস সেভেন ’ দেখলাম৷ ’

মাসখানেক আগে উস্তাদ জাকির হুসেনে সাক্ষাত্কার ‘অন্য সময় ’-এ প্রকাশিত হয়েছে শুনে ভারি খুশি হলেন তৌফিক৷ বললেন , ‘তাই ! লিঙ্কটা ওয়াটসঅ্যাপ করে দেবেন তো প্লিজ !’

বিয়ের আগেই বিয়ের ছবি

$
0
0

অর্থাৎ প্রি- ওয়েডিং ফটোগ্রাফি। রীতিমত পেশাদার ফটোগ্রাফার ভাড়া করে বাঙালি ভাবী দম্পতিরা মাতছেন তাতে। টাকা খরচেও পিছপা হচ্ছেন না। লিখছেন দেবলীনা ঘোষ।

বিয়ের ছবি সুন্দর করে তোলা , তার জন্য বেশ কিছু টাকা খরচ করা এখন আর এমন কিছু ব্যাপার নয়৷ কারণ সেই ছবিই তো থেকে যাবে সারা জীবনের স্মৃতি হয়ে৷ কিন্ত শুধু বিয়ের ছবি তুলেই আর এখন খুশি নন বর -কনে৷ বিয়ের আগে তাঁদের মধ্যে কেমন কেমিস্ট্রি ছিল -সেটাও ধরে রাখতে চান ছবিতে৷ অতএব রমরমা প্রি -ওয়েডিং ফোটোগ্রাফির৷ সদ্য বিয়ে হয়েছে পৌলমী দাশগুপ্তর৷ বিয়ের আগের কিছু বিশেষ মুহূর্ত ধরে রাখা
র জন্য এই প্রি -ওয়েডিং ফোটোশ্যুট করান তিনি৷ কিছুটা টাকা বাড়তি খরচ হলেও সেই নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই তাঁর৷ ‘আমার বাড়ির সবাই প্রি -ওয়েডিং ফোটোশ্যুট দেখে খুব খুশি হন৷ অনেক বন্ধুরা তারপর প্রি -ওয়েডিং শ্যুটের জন্য যোগাযোগও করে আমার ফোটোগ্রাফারের সঙ্গে৷ আমরা তো প্রফেশনাল মডেল নই৷ তাই বারবার ভুল করে ফেলছিলাম৷ কিন্ত আমাদের ফোটোগ্রাফার খুব ধৈর্য্য নিয়ে ছবিগুলো তুলেছিলেন ’-জানাচ্ছেন তিনি৷


পৌলমীর মতো অনিন্দিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিয়ের আগে ফোটোশ্যুট করিয়েছিলেন৷ তবে কলকাতায় নয়৷ মন্দারমণি গিয়ে৷ ‘বেনারসিটা একটু কম দামের কিনে আমি এই শ্যুটের জন্য টাকা বাঁচাই৷ শাড়িটা তো একবারই পরব৷ কিন্ত এটা থেকে যাবে সারা জীবনের জন্য ,’ জানাচ্ছেন তিনি৷

পাহাড় থেকে সমুদ্র--ফোটোশ্যুট হতে পারে যে কোনও জায়গাতেই৷ তবে তার জন্য বাড়তি খরচ করতে হবে৷ স্মোক মেশিন এফেক্ট থেকে একেবারে সিনেম্যাটিক রি -টাচ - সব পেয়ে যাবেন নিউ -এজ ওয়েডিং ফোটোগ্রাফারদের কাছে৷ প্রি -ওয়েডিং ফটোগ্রাফি করেন , এমনই এক সংস্থার রাজেশ গুপ্তা প্রতি বিয়ের সিজনে ২০ -৩০টা প্রি -ওয়েডিং ফোটোগ্রাফির অনুরোধ পান৷ তার মধ্যে থেকে কথা বলে , পরিকল্পনা আলোচনা করে মাত্র কয়েকজনের সঙ্গেই কাজ করা হয়ে ওঠে তাঁর৷ বেস প্যাকেজের দামটাও অবশ্য শুরু হচ্ছে পঞ্চাশ হাজার টাকা থেকে৷ তাঁর কাছে বাঙালি যুগলরাও প্রি -ওয়েডিং ফোটোশ্যুটের আবেদন পাঠান৷

‘ছবিতে বেশিরভাগ সময়েই বলিউডের একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব থাকে৷ কারণ ক্লায়েন্টরাই সেরকম চান৷ তবে এখন অনেকেই আউট অফ দ্য বক্স , ফান ফোটোগ্রাফ বা ভিডিও -ও পছন্দ করেন ’, জানাচ্ছেন তিনি৷ ছবির মান যাতে ভালো হয় তার জন্য দুবাই , গোয়া , ব্যাঙ্কক এমনকী স্পেন , ইতালিও লোকেশন হিসেবে পছন্দ করতে পিছপা হন না এখনকার বর -কনেরা৷ আর এক সংস্থার আয়ূষ মজুমদার বেশ কিছুদিন হল ওয়েডিং ফোটোগ্রাফি করছেন৷ এই ধরনের ছবি তোলার জন্য তাঁদের কাছে প্রচুর আবেদন আসে৷ তাঁর মতে এখন আর বিয়েবাড়ির ছবিটা শুধু ওই বর -কনে আর আত্মীয়স্বজনের ছবি তোলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই৷ পুরোটাই ক্রিয়েটিভ ফোটেগ্রাফির অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়েছে৷
শুধু ফোটোগ্রফির জন্য তাঁর সংস্থা চার্জ করেন ৫ -৬ হাজার টাকা৷ তবে তার সঙ্গে যদি সিনেম্যাটিক ভিডিও নেন , তাহলে অবশ্যই টাকা বাড়বে৷ লোকেশন শ্যুটিং -এও টাকা বেড়ে যাবে বেশ কিছুটা৷ আয়ূষ জানাচ্ছেন , ‘এখনকার বর -কনে শুধুমাত্র কয়েকটা রিচুয়ালের ছবি তুলেই খুশি থাকেন না৷ তাঁরা চান ছোট ছোট মুহূর্তগুলোও যেন ধরা থাকে ফ্রেমে৷ আর তার জন্যই বিয়ের আগের সময়টাও তাঁরা সারা জীবনের জন্য বিশেষভাবে ক্যাপচার করে রাখতে চান৷ ’



সুতরাং সামনেই বিয়ে করতে চললে একবার ভেবে দেখতে পারেন এই ধরনের ফোটোগ্রাফির কথা৷ কারণ বিয়ের পর এই সুন্দর মুহূর্ত আর কিছু ব্যক্তিগত স্মৃতিই পাওনা হিসেবে থেকে যাবে মনে৷


Viewing all 1188 articles
Browse latest View live


<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>